রাজপথে দাঁড়িয়ে মোদের দোলন করতে হয়,
মজুরী বৃদ্ধি দাবিতে মোদের রক্তাক্ত হতে হয়।
যেই বেতনে চাকরী করি, শেষ মিলাতেই ভাত,
“মোদের কি ভবিষ্যৎ নাই„ করে শ্রম দিবারাত।
শুনবে কে এই আত্মচিৎকার শুনবে আর্তনাদ?
নিত্য জড়ে রক্ত গায়ের, মোরা নিত্যদিনই মরি,
পুলিশ মারে, সরকারে মারে, নালিশ কই করি?
মোরা শ্রমিক পরিশ্রম করি রাখতে দেশের মান,
না খেয়ে আমরাই মরি, হয় আবার কত অমান।
তেল, পিয়াজের মূল্য বাড়ে, বাড়ে বাড়ি ভাড়া,
শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির নাই কোনো নাম সাড়া।
সর্ববস্তুর দাম বৃদ্ধি হয়, বাড়ে না শ্রমিকের মূল্য,
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে যারা কীর্তি রাখে নভতূল্য।
কেমন করে বাচঁবো খেয়ে, সামর্থ্য মোর নাইরে,
কাঁচা বাজার অগ্নিতপ্ত , ক্রয়ের সাধ্যের বাইরে।
তেলের দাম আকাশ ছুঁয়া চাউলের বাজার চড়া,
গ্যাসের দাম বলবো কি আর শুনলে মাথা গুড়া।
আলু, বেগুন, রসুন কিনেই পকেটটা হয় ফাঁকা,
মাছের বাজার গিয়ে দেখি হাতে নাই আর টাকা।
অল্প বেতনে চাকরী করে মিঠে না কোনো সাধ,
নুন পানি মিলাতেই দিন মাস যায় স্বপ্ন বরবাদ।
এ জীবন যেন মৃত্যু শয্যা, বিরক্তির মহা কারণ,
এর থেকে ভালোই হয়, হতো যদি শহিদী মরণ।