০১)
মহামায়া আসছে
বিপুল চন্দ্র রায়
রাজারহাট-কুড়িগ্রাম

জগত জুড়ে বছর ঘুরে
এলো রে ভাই পূজা ।
নেচে যাই গেয়ে যাই,
এই আনন্দে ভাসি সবাই।

পূজা এসেছে পূজা এসেছে,
দু’চোখে নাই নিদ।
ঢাকি বাজায় ঢাক ঢোল
পাড়ায় পাড়ায় সোরগোল।

মায়ের পূজা করব মোরা
দশে মিলে মিশে ভাই।
আনন্দ খুশির বার্তা
সবার মনে দোলা দিয়ে যায়।

০২)
ভ্রাতৃত্ব বন্ধন
বিপুল চন্দ্র রায়
রাজারহাট- কুড়িগ্রাম

বছরে ঘুরে আবার পূজা এসেছে,
মানুষের মাঝে আনন্দ জেগেছে।
পৃথিবী হবে সুন্দর যদি করি,
মোরা সবাই শুদ্ধ সংকল্প।

দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে যাবো,
বুকে টেনে নিয়ে করবো বরণ।
মিলে মিশে করবো পূজা ,
গড়বো সবাই ভ্রাতৃত্ব বন্ধন।

০৩)
পূজার আনন্দ বার্তা
বিপুল চন্দ্র রায়
রাজারহাট-কুড়িগ্রাম

বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড মাতোয়ারা,
আনন্দ খুশির অনন্ত নাই।
আকাশ বাতাস চন্দ্র তারা,
আনন্দ খুশি মোরা সবাই ।

পূজা এসেছে পূজা এসেছে,
আনন্দ খুশির বার্তা বইছে।
মহামায়ার কাছে এই প্রার্থনা
সুখ শান্তিতে রই যেন সবাই।

০৪)
পূজার আমেজ
বিপুল চন্দ্র রায়
রাজারহাট-কুড়িগ্রাম

দিগ-দিগন্তে পূজার আমেজ
সবার মনে অনন্ত কোলাহল।
গরীব নাই ধনী নাই,
সবাই পূজা করতে চল।

মন্দিরের ওই অমৃত প্রাসাদ
সবার তরে ভাই।
পূজা শেষে প্রাসাদ খাবো,
কোন ভেদাভেদ নাই।

এই তো মোদের পূজার আনন্দ,
এই তো মোদের ভ্রাতৃত্ব বন্ধন।
সবাই মোরা সবার তরে,
পূজা হোক আনন্দ ক্ষণ।

০৫)
পূজায় শখ
বিপুল চন্দ্র রায়
রাজারহাট-কুড়িগ্রাম

বছর ঘুরে পূজা এলো
নতুন জামা পড়তে ইচ্ছে হয়,
মনের শখ আহ্লাদ মরে,
টাকার অভাবে কিনতে না পাই।

বাবা- মা মোদের গরীব
এই জগতে কিছু করার নাই।
টাকা আছে যার শখ তার,
তার দু:খ কষ্ট নাই।

আয় রে যদু আয় রে মধু
কাজ করিতে যাই।
সেই টাকা দিয়ে কিনব জামা
ঘুরবো মোরা সবাই।

পাড়ায় পাড়ায় মন্দির প্রাঙ্গণ
দেখবো শত শত প্রতিমা।
মায়ের চরণে করব প্রণাম,
যেন থাকেনা দুঃখ দুর্দশা।

০৬)

পূজায় ঐক্যতান
বিপুল চন্দ্র রায়
রাজারহাট-কুড়িগ্রাম।

পূজা মানেই মিলন মেলা,
প্রেম প্রীতি বন্ধনে ভাসা।
পূজা মানেই আনন্দ খুশি,
ভাগাভাগি করে নেওয়া।

পূজা মানেই মায়ের দর্শন
শ্রদ্ধা ভক্তি পুষ্পাঞ্জলি প্রণাম।
পূজা মানেই ধর্ম কর্ম,
স্বর্গ সুখ শান্তি সন্ধান।

পূজা মানেই ভালোবাসা
প্রেম প্রীতির সেতু বন্ধন।
পূজা মানেই ঐক্যতান
ধর্মের জয়ধ্বনি গান।