গোলাপের মত ফুটে, যাও কেন গো টুটে
আমি ছাড়া তোমায় বল, কে নেবে গো লুটে?
রক্ত পরাগ ঠোঁটের কোণে, এক চিলতে হাসি
তোমার কাছে মধুর খেলা, আমার কাছে ফাঁসি
তোমার নয়ন বন্ধ হলে, শ্বাস নাহি পাই
অনামিকা কাঁপন বুকে, আপন করে চাই।
ঝুকে পড়া মৌয়ের দলে, তুমি রাঙা ঘ্রাণ
হৃদয় হতে কখন ঝর, তাই না কাঁদে প্রাণ
তুমি আমার রংধনু গো, শঙ্কা মনে সুখ
হৃদয় জমিনে করি চাষ, যুগের পরে যুগ
আমি ছাড়া তোমায় বল, কে দেবে গো ফুল
ভাঙা নদীর পাড়ে তুমি, সবুজ রাঙা কূল।
রক্ত তুমি নেবেই যদি, দিও সকল মান
মিলন বেলা শরত প্রাতে, শোনাই তোমায় গান
এক সাগরে হাসির ঢেউ, বিশ্ব খাবে দুল
ভ্রমর কেন ছোইনি গোলাপ, মানবে তারি ভুল
চাইযে তোমায় নিশি প্রাতে, মন রাঙা ভোর
একটি গোলাপ করতে চুরি, হবই আমি চোর।
সারা দেহে বিষ মাখাও, গোলাপ রাঙা মন
তোমায় ছুতে আজি আমার, এতো আয়োজন
আমি মানবো না বাঁধ, ওই কালবৈশাখী ঝড়
শূন্য মন উঠবে ভরে, পূর্ণ হবে ঘর
তোমার প্রেমের নিবিড় পরশ, কে নেবে রে বল
বিশ্ব আমি ভাসিয়ে দেব, ঝরলে চোখের জল।
কাঁপিয়ে দেব ধরার বুক, হাপিয়ে ওঠা লাশ
প্রিয়ার মনে থাকি যেন, আমি বারোমাস
স্বপ্ন ভাসা ঠোঁটের লাজে, আকাশ ছেয়ে উড়ি
আমি না হয় হলেম তোমার, মন আকাশের ঘুড়ি।