আমার কোন ক্লান্তি নেই,
জনমানুষের ভীড়ে থেকে থেকে আমি ভুলে গেছি জীবনের অবসন্নতা,
গাঢ় নীল-কালো এক স্থান আছে পৃথিবীতে,
শুনেছি সেখানে
পৃথিবীর সব যুবতীরা চলে গেছে ।
আজভ সাগরে গভীরে জলজ প্রাণ হতে পারি যদি কোন দিন বা নীল শ্যাওলার মতো সাগরের ঢেউয়ে ভেসে ভেসে পৌছাবো আমি ।
ছাই-সবুজের মতো রঙে রাঙা হয়ে কখনো কৃষ্ণসাগরে শুয়ে শুয়ে ঢেউয়ে আর বালিতটে -
সেই যুবতীর মতো কোন ঢেউ -
স্তনের সে কোমলতা বারবার ফিরে আসে - ভেঙে যায় বুকে ।
এই মনে আগলে রাখিবারে কোনদিন চাইনি আমি -
চাইনি কোন দিন তারে ।
নীল আকাশের নীচে আরও গাঢ় নীল-কালো যেথায়
নীল সাগর - জানি না মিশে গিয়ে কোথায়!
নাকী মিশে নি কোন দিন সেই ভালোবাসা।
যুবতীর স্তন আর ভালোবাসা -
ঢেউয়ে ঢেউয়ে ভেঙে যায়, ফিরে আসে এই বুকে বারবার ।
যা কোনদিন ভালো লাগে নি তার এই পৃথিবীতে -
ঐশ্বর্যের ভীড়ে সুখী হতে পারে না সে আমি জানি -
আমি জানি সেসব বিষন্নতা ছাড়া আর কিছু হতে পারে না তার কাছে একদিন ,
তার কাছে - সেই যুবতীর কাছে !
তবু সেসব ভালোবেসে সুখী থাক পৃথিবীর সব যুবতীরা - এই আমি চাই ।
আমি শুয়ে রব চিরকাল মাঠে, ঘাটে, এই মরা ঘাসে,
কখনও কখনও চলে যেতে পারি সাগরের তীরে - বালি আর ঢেউ ছুঁয়ে ছুঁয়ে যদি তাকে মনে পড়ে আরও একবার ।
যদিও আমি তাকে ভালোবাসি না আর,
তার সব কথা ভুলে গেছি আমি বহুকাল আগে -
পৃথিবীর সব যুবতীরা ঢেউ নয় একথা আমি জেনেছি তারপর ধীরে ধীরে,
সাগরের ঢেউয়ে কোন ক্লান্তি নেই, নেই কোন অবসন্নতা - আমি জানি ।
তবুও সেই ঢেউয়ে, সাগরের 'পারে
নীলশির, লালশির হাঁসেরা উড়ে চলে যায় দূরদেশে - আকাশে,
তাদের দিকে চোখে চোখ রেখে
যুবতীর মতো আমি চিনে নিতে পারি ।