বর্ষার ভোরে ঘুম ভেঙ্গে গেলে -
বাংলার অসংখ্য পোকা আর পুঁটি মাছ খুঁজে খুঁজে স্বাধীনতা পাই আমি বক আর কাকেদের পায়ে ।
সবুজ ঘাসের মাঝে খুঁটে খুঁটে খুঁজে পেতে পারো কখনো আমারে খালে-বিলে উড়ে যাওয়া মাছরাঙাদের ভীড়ে ।
অন্ধ পেঁচার চোখে কোনোদিন যদি পৃথিবীকে ভালো লাগে তবে ভিজে ভিজে কোন কাঁঠালের ডালে বর্ষার গান শুনেছিল কোন প্রেমিক ব্যর্থতার সব ব্যাথা ভুলে ।
ঝরাপাতা ভিজে গেলে সাপ - ব্যাঙ-কেঁচো আর কিছু পোকা -
উপভোগ করে সেই কোমলতা ।
সব কথা শেষ হয়ে গেলে
স্তব্ধতার ঘ্রাণে দুরে ডাকে ঝিঁঝিঁ পোকা ।
এখনও বোধ করি রাত পোহাবারে আরও আছে কিছু দেরি,
মৌসুমী বাতাসের আছে যে স্নিগ্ধতা -
পৃথিবীর মাটি আর জলে আমি পেয়েছি -
পেয়েছি প্রেয়সীর সব ভালোবাসা -
নীল সভ্যতার দেশে খুঁজে খুঁজে যে কবি হারিয়েছে তার সব কবিতা,
অন্ধকার দেশে, লোহিত সাগরের দ্বীপে
আমি যাই নি কখনো -
যাই নি কোন রূপকথার দেশে,
রূপসীর প্রেম আমি পেয়েছি আউসের ক্ষেতে ।
সাদা বক, দাঁড়কাক সারিসারি -
আর মাটি - জল
ভালোবাসা মানে শুধু চেয়েদেখা প্রেয়সীর চোখে ।
হাঁসের, বকের মতো আনমনে আকাশের দিকে চেয়ে থাকা নয় -
আদিম মানসীর কোন ভালবাসা
ইতিহাসের পাতায় নয় -
পৃথিবীর ভীড়ে সে নারী আসেনি কোনদিন
তার দিকে চেয়ে দেখে বুঝেছি
মাটি আর জলের দিকে চেয়ে থাকাই সব ভালোবাসা ।