...আর তারপর
প্রত্যুষের বিস্তীর্ণ উঠোন ধুয়ে দেয়
স্নিগ্ধ শিশির।ঘুমন্ত পাড়ার বাতিস্তম্ভের মতো
সমুজ্জল তারাও বিশ্রামে যায়;ক্লান্ত,অবসন্ন।
ইস্টেশনের মোহ ছেড়ে বেরিয়ে যায় প্রথম রেলগাড়ি-
হুইসেলে মিশে যায়,মোরগের প্রভাতী।
অনেকেই শুয়েছিল,সবাই ঘুমাইনি।
চোখের তারার মতো স্থানু নয়,সময়
এগিয়ে গেছে…বাতাসিয়া স্রোতে ভাসমান
নীলচে কালো যুথচারী মেঘের সহচরী।
ওদিকে,তাড়া।কেটলির জল দর দর করে
ঘামতে ঘামতে ফুটে যাওয়ার আগে,
ক্লোরোফিলের জৈবিক চাহিদায়;নিবিড় বনানী
আর কুয়াশার মায়াবী বুহ্য ভেদ করে
পর্বতের মুকুট ঘেসে শুরু হয়ে যায়
দৈনিক অমনিবাস।।।