নির্মাল্য, ওরা থাক !
ওদের দিকে ফিরে তাকাস্ না এখন -
বুকে জ্বালা ধরবে তোর !
হাঁসফাঁস হবে ,
হবে ঊর্ধ্ব বায়ু ,
টেনে ধরবে তোকে নাভিশ্বাস !
সইতে পারবি না তুই রগরগে দম্ভ ভার ;
ফুসুর ফাসুর ফন্দী কষে –
চাপিয়ে দিয়ে ছাপিয়ে দেবে কণ্ঠ তোর
অসত্যের ত্রিপলে।
স্বভিমান কে শুইয়ে দেবে শরশয্যায়
তোর সুকোমল বুকে।
নির্মাল্য, কা’দের খুঁজছিস্ ?
তাদের? যারা তোকে আগামীর স্বপ্ন দেখিয়েছিল?
ফানুসের মতো আজ ফুঁস হাওয়ায় গুম তারা !
আড়ালে হাসছে অট্টহাসি ;
তোর আর্তনাদেই তাদের সুখ।
চুরুটের পর চুরুট !
দামী সুরমা !
চুরুটের ভারে ঠোঁট –
আর, সুরমার রঙে চোখ !
দেখা যায় না পোশাকে ঢাকা বুক –
তবুও নির্দ্বিধায় বলতে পারি ,
পাপের ধোঁয়ায় কালো হয়ে গেছে মন তাদের কয়লার মতন।
ওরা তোর চোখে ঢেলে গেছে যে স্বপ্ন ,
তুই ভুলেও তাতে জল ঢালিস্ না –
গাব্য ঘি ঢাল্ !
নির্মাল্য, আকাশে দেখ্ ,
বাতাসে শোন্
পাহাড়ে ছোট্ তুই –
উদ্দাম ঝড়ের মতো !
দৃঢ় প্রত্যয়ী সৈন্যের মতো !
শ্যোন দৃষ্টিতে পোড়া তাদের
মাংসল অমার্জিত স্বত্বা
শিকে বেঁধে ঝলসে নে ভালো করে;
তোর চিন্তার কিছু নেই –
সত্যের খাদ্য, পানীয় যোগাবো আমি ;
পিঠ পিছে নয় – সর্ব সমক্ষে।