নিজের দেশেই পরাধীন আমি –
মুক্ত কপোতের মতো ডানা মেলতে পারিনি আজো !
গোল্লাছুট, বৌ-চি খেলে বেড়ানোর বয়েসে
জানালার শিক ফুঁড়ে দেখেছি,
ধ্বংসযজ্ঞ ! হত্যা লীলা !
ঘুড়ি , ওড়াতে দেয় নি মা –
তবুও, আকাশে চোখ রেখেছি বারবার
হতাশায় বৈকালের বেগুন্য বেহুলা ক্ষণে।
বারান্দার গণ্ডী টপকে মনকে বলেছি –
‘‘ ছুটে চল নিরালার অন্ত রাগে’’ ।
কিন্তু, ফোঁস, শোঁ......... ধুম !
শব্দের ভয়ে মন সেঁধিয়েছে ঘরে;
আকাশের বুক চিরে,
সাদা ধোঁয়ায় ভরে
এক নিমিষেই উড়ে গেছে মিসাইলস !
অবাধ্য আমায় হ্যাঁচকা টানে
ঘরে তলে মা –
গালে বসায় সশব্দ চড় !
চোখের জলের সাথে মনও হয়েছিলো
দুর্দমনীয় সে দিন -
আলোর বেগে ছুটিয়েছি চোখ
সুগভীর পাথার থেকে মহাকাশে ।
ইতিহাসের পাতা ঘেঁটেছি আসমুদ্রহিমাচল
পড়েছি কুরুক্ষেত্র থেকে পলাশীর প্রান্তর !
বাদ পড়েনি বাহান্ন ! একাত্তর !
শুধুই রক্তের আগ্নেয়গিরি –
ঝলসে গেছে বুক আমার
মার্চের আগুনে !
লোহিত বর্ণ ব্যপ্ত করেছি আমি
দু’ নয়ন জুড়ে ;
মুষ্টিবদ্ধ হাতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি -
জল ফেলবো না এক ফোঁটাও ।
কোথায় তারা?
আমি খুঁজছি সেই কালো হাত !
করাল আগ্রাসী হায়েনাগুলো
লুকিয়ে আছে তোমার আমার মাঝেই।