বিন্দু বিন্দু প্রতিবাদের একছত্র গাঁথা বিনুনি -
আমার স্বাধীনতা ।
রক্তের প্রতিটি কণা, প্রতি বিন্দু –
প্রতিবার দৃপ্ত কণ্ঠে ঝরেছে সশব্দ
আন্দোলনের আহ্বান।
আড়ষ্ট দেহেও হয়েছে বিদ্যুৎ সঞ্চার ,
যতবার হয়েনার আঘাতে জর্জরিত হয়েছে –
বাংলার মাতৃময়ী অঙ্গ।
প্রাণের ভয়ে লুকিয়ে ফেরেনি
অগ্নি সন্তানেরা একবারও !
মাঠে – ঘাটে – বনে – প্রান্তরে জ্বলেছে বহ্নিশিখা –
নিরবিচ্ছিন্ন সুবিস্তৃত প্রবল ন’ মাস।
প্রসব অন্তর অগণিত মা –
হয়েছে সম্ভ্রমহীন , সন্তানহীন ;
আর ভিনদেশী পশুর লালসার খাদ্য!
অট্টহাসে, তারা একা করেনি উদরপূর্তি,
এক , এক করে পেরিয়েছে দশের কোঠা।
নীরব দেশ, বয়েছে ভার
চির ধরা রক্তাক্ত বুকের,
চিতার আগুনে ভস্ম হয়েছে দেহ বারংবার।
পদ্মা , সুরমা , তিতাস , কর্ণফুলী হয়ে
শোণিত রাঙা অশ্রু গড়িয়ে দিয়েছে বঙ্গোপসাগরে।
সাগর – নদীর মোহনা আজো সাক্ষী
সেই রক্ত প্লাবনের।
জীবন ডুবেছে, রক্ত ঝরেছে
আকাশ কেঁদেছে, বাতাস কেঁপেছে
ব্যথা বিরহের হাওয়ায়,
বিষের জ্বালায় জ্বলছে মাটি
দুখ বেদনা পাওয়ায়।
মজ্জায় মজ্জাগত হয়ে গেছে দেশপ্রেম
আহার নেই, নিদ্রা নেই!
বিসর্জন দিয়েছে সুখ মুহূর্ত
বিষাদ দণ্ডে!
লাল সবুজের ধ্বজা বুকে বেঁধে
গড়েছে পবিত্র দেহবন্ধনী
শত্রুমুক্তির আশে।
প্রনমি তাঁদের নিয়ত –
যাঁদের রুধির প্রবল তেজ
গুঁড়িয়েছে রক্তপায়ীর দাঁত।