দু’চোখ রক্ত হয়ে জ্বলছে আজো ;
অগ্নিঝরা এক দুপুরে – দেখেছি,
বিধবা মায়ের কলজেটা গলগল করেই
ছড়িয়ে দিয়েছে শেষ রক্তবিন্দু উঠোনের
শেষ প্রান্ত রেখায়।
তার হাতে মোড়ানো একটি সাদা ছেঁড়া কাপড় !
গর্ভধারিণীর আশিসধন্য তরুণ –
প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলো শ্যামল মাটি ছুঁয়ে ,
দেশের পথ – ঘাট – মাঠ – নদী – পাহাড় জুড়ে
ওড়াবে সে বিজয় কেতন ।
স্বভূমির মাটি ছুঁয়েই জীবন প্রদায়িনী কে –
ডাকবে ‘‘ মা ’’ – বলে।
উদ্দামি চোখে বুনেছিল স্বপ্ন
স্বাধীন দেশে স্বাধীন পতাকার,
শত্রুশূন্য মানচিত্রের স্নিগ্ধ সূর্যের
আরও ছিল –
সবুজ ছোঁয়ায় সবুজ হওয়ার স্বপ্ন ,
শরতের ভোরে , উঠোনের কোনে ,
শিউলির তলে , নিজ ভূতলে,
মেখে সৌরভ হতে চেয়েছে গন্ধ বিদুর!
কিন্তু . . .
কিছুই হলনা পাওয়া ,
তবুও, বিলিয়েছে জীবনাবধি সপ্নমায়া
নিরন্তর , নিষ্কলুষ চিত্তে
প্রতিবাদী কণ্ঠের মাঝে ।
বজ্র নিনাদ স্বরূপ তার প্রতি স্বপন আখর ,
প্রাখর্যতার তেজরশ্মি সূর্যকবচ হয়েই –
প্রবেশ করেছে প্রস্ফুতিত কিশলয়ের দেহাভ্যন্তরে।
দেহ থেকে সেই প্রস্রুত রক্তকণিকা
নবপ্রজ্ঞার নব্য তিলক হয়ে -
ছড়িয়ে গেছে আজ
শত সহস্র স্ফুলিঙ্গ প্রাণ কোষে।