ছন্নছাড়ার মতো এলেবেলে চুলে হুড়মুড়িয়ে চেয়ারে বসলাম
মাথায় রাজ্যের দুঃশ্চিন্তা;হাজারো ভাবনার মারপ্যাঁচ ।
নিজেকে ছোটছোট টুকরো করে প্রতি টুকরো কে জিজ্ঞেসিলাম,
তুই কার? অথবা কে তোর?
প্রত্তুত্তরে নির্জীব গোস্ত টুকরো কিছুই বলতে পারলো না ।
পাশে দন্ডায়মান আত্মা ফ্যালফ্যাল করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে,
আমি নিশ্চুপ
গড়িয়ে পড়া রক্তকে রুখতে সে ব্যর্থ চেষ্টা করছে;
আমি তখনও কোন প্রতিক্রিয়া দেখালাম না ।
আশপাশে চরম নিরবতা বিরাজ করছে
আত্মাকে আমার সামনে এনে ধমকের সুরে বললাম
তুই কার জন্য কাঁদছিস?
এখানে কি কেউ আছে তোর?
এই যে পৃথিবীর বিরানভূমি তে তুই
ভালোবাসা বিলিয়ে চলছিস,অট্টালিকা বাড়ী গাড়ী
সব,কার জন্য?
কেউ আছে তোর? রাখবে কি মনে পৃথিবীবাসি?
সে নিচে তাকিয়ে অনবরত কেঁদেই চলছে
আমি মুখ ফিরিয়ে নিলাম ।
নিরবতা ভেঙে সে আমার পাশে এসে দাড়ালো
গলগল বলে উঠলো
আমি কিছুই আমার জন্যে করিনি,
এ বিশাল পৃথিবী আমি আমার জন্য সাজাইনি
অট্টালিকা বাড়ী-গাড়ী কিছুই না
কে আমাকে মনে রাখবে বা না রাখবে,
তাও ভাবিনি ;
আমি শুধু আমার দায়িত্ব পালন করেছি
অনাগত ভবিষ্যতের কথা ভেবে,
এ ভোগ বিলাশ মায়া-মমতা
অনুভব করতে না পারলেও আমার চলবে ;
আমি দূর থেকে দেখব,
দূর থেকেই সব অনুভূতির স্বাদ নেব ।
দূর থেকেই...
রচনাকালঃ-
০৮০২২০১৯ খ্রিস্টাব্দ
আজমান,আরব আমিরাত ।