অপৌরাণিক গল্প
=============================@@@
ভালোবাসতেন তিনি -
দুঃস্থের কান্না
নিরন্নের কান্না
দগদগে কান্না
প্রতিদিন রাত্রে প্রজাদের দোরে দোরে যেয়ে
কান পেতে উপভোগ করতেন গুমড়ানো শব্দের ব্যগ্রতাকে।
যখন -
অভাব অনটন কমে
থেমে যাওয়ার উপক্রম হলো হা-হুতাশ রাজত্বে,
প্রহরীদের দিয়ে লোক ধরে এনে
নির্যাতন চালাতে লাগলেন গোপন আস্তানায়, নিত্যি।
কান্না চাই
আরো কান্না
আরো - আরো -
আমি মহারাজ
আমিই ঈশ্বর -
আমার ইচ্ছা কি থাকতে পারে অপূর্ণ?
কক্ষনো না!
সেদিন -
সবেমাত্র স্বভাবে নেমে
এঘর ওঘর উঁকি দিতে শুরু করেছে সাঁঝের আঁধার,
অস্থির রাজা
গত দু’দিন হলো প্রাপ্তি থেকে সে বঞ্চিত।
আজ অনেক কষ্টে একজনকে ধরে এনেছে প্রহরীরা
অচেনা শিকারীকে।
নির্যাতন চলবে
খুব - খুব -
অবশেষে -
তৃপ্ত মনে ঘুরতে গেলেন তিনি নির্যাতন কক্ষে।
কি দেখলেন?
মেঝেয় পড়ে আছে তারই স্নেহের একমাত্র সন্তান
ছদ্মবেশী অচেতন দেহে।
ক্ষোভ নেই অশ্রু নেই নেই কোন উৎকণ্ঠা
বিড়বিড় করে শুধু বললেন -
’আমার কান্নার সুরটাকে কি
আমারি কর্ণ কুহরে পৌঁছে দেয়া যায় না প্রাণেশ্বর!’
=============================@@@
পাঁচুপুর, আত্রাই, নওগাঁ।
১৭/০৫/২০২৪ইং।
@বোরহানুল ইসলাম লিটন