নায্যতা
============================@@@
জানতো সেই যে রাজা যতোদিন আছে তার নদী,
রবেই সুখের ধারা
জন্মিবে ফসল বলে অব্দ ভর খাসা নিরবধি।
ভাঁড়ার ভরতি রলে
মজুদ দখলে রলে ঢলে-জলে নদীটির মতো,
পাশে রবে প্রজা অনুগত।
আধা খেয়ে, না খেয়েই থাকুক না ক্ষীণ ঘর দোর
বলবে কে কটু কথা হলেও সে ক্রোধে বোধে বদ,
জেগে যদি সভা পরিষদ?
ভাবতো নিরীহ প্রজা গাফিলতি নেই কারো কাজে
প্রচুর ফলন আসে
বিশাল ভাঁড়ারই নয় হাসি-খুশি ষোল আনা ভূম,
রাজন এভাবে কেন কেড়ে নেয় ক্লান্তদের ঘুম?
সকলেই যাবো কাল মিলে মিশে ফেলে শোক রোগ,
নিয়ে অভিযোগ।
সেদিন বিকেল বেলা রাজসভা লোকে লোকময়
অনেকে বলছে কথা
অনেকে ফেলছে লোর হৃদয়ের খেদে
দু’দিকে দুলিয়ে মাথা বুঝেও তা রাজা করে ছল,
হঠাৎই একটা ছেলে বলে উঠে জোরে -
’নায্যতা ফিরিয়ে দাও
খেয়েই করবো শেষ নইলে হে ও নদীর জল!’
============================@@@
পাঁচুপুর, আত্রাই, নওগাঁ।
০৭/০৬/২০২৪ইং।
@বোরহানুল ইসলাম লিটন