পরম করুণাময় মহান আল্লাহ তায়ালার নামে আরম্ভ করলামঃ
জনমের তরে মহান দয়াময় আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক প্রেরিত সবচে’
মূল্যবান নিয়ামত হলো ’মা’!
’মায়ের পদতলেই সন্তানের বেহেস্ত’
এর চেয়ে চিরন্তন দুনিয়াতে আর কিছুই নেই।
মা-হীন বাড়ি বিরানের সমতুল অর্থাৎ সব থেকেও নেই - নেই,
এই চরম সত্যটি সেই অনুভব করতে পারে যে তার হৃদয়ের ধন মাকে হারিয়েছে।
মা-ই ছিলো আমার জীবনের সবচে’ পরম অবলম্বন!
অবাধ্য পায়ে দুরন্ত ক্ষেতে ঘুড্ডি নিয়ে ছুটে চলা থেকে শুরু করে
লিলুয়া বাতাসে বসে কালো ফ্রেমে বাঁধা চশমায় হস্ত রেখা গুনার
সময় পর্যন্ত তাকেই পেয়েছি একমাত্র নির্ভেজাল সমর্থক হিসেবে।
কারণে অকারণে বর্ণিল আবদার ও দাবী কুণ্ঠাহীন চিত্তে
বেঁধে দিয়ে তার আঁচলে তাই নিশ্চিন্তে চলেছি পথ।
একটা রুবাই-এ লিখেছিলাঃ
বললো তোরে গরীব যারা ব্যঙ্গে হেসে নেচে,
বল সখী বল তাদের ডেকে হোক তবু তা যেচে!
’থাকতে পারে ভাণ্ডে তোদের মুক্তা মানিক হীরা,
আয় দেখে যা আমার ঘরে মা রয়েছে বেঁচে!
বার্ধক্যের কারণে শেষের দিকে মা খুব ভালো চলা ফেরা করতে পারতো না।
ঘর থেকে বারান্দা আর বারান্দা থেকে ঘর
অর্থাৎ খাট থেকে পিঁড়ি পর্যন্ত ছিলো তার দুনিয়া।
জীবনে পরিক্রমা সঁপে আঙ্গুলের গিঁটে সারাদিন বসে থাকতো একা বারান্দায়।
আজ মা নেই -
গত ২৩ আগষ্ট, ২০২২ইং তারিখে বিধাতার ডাকে সাড়া দিতে চলে গেছেন পরপারে!
তবুও বিবর্ণ সময় বুকে জড়িয়ে নীরব অক্ষি মেলে বারান্দার কোণে
জেগে আছে তার পিঁড়ি!
তা দেখেই লেখাঃ
মায়ের পিঁড়ি
===========@@@
আকাশের নীল আছে মেঘেরাও শুভ্র
বিবর্ণ চিত্তের ধরা,
তৃষ্ণার্ত দু’চক্ষু তাই নিরালায় দ্যাখে
বহ্নিমান চৈতী ধারে অগোছালো ফাটা এক খরা!
চারিদিকে পাখি ডাকে ক্ষণে ক্ষণে -
মৌমাছিরা স্বপ্ন বুনে ডালে,
তবুও ক্রন্দিত আশা টলে পড়ে ভালে!
ছন্দিত বিত্তের ঘ্রাণ গড়তো যে প্রশান্তির সিঁড়ি,
মানহীনে খুঁজে ফিরে পিঁড়ি!
আমি খোয়ে নন্দের সা,
চেয়ে ভাবি ও পিঁড়িতে বসে না ক্যা আজ আমার মা!