পরম করুণাময় আল্লাহর নামে আরম্ভ করলামঃ


যেখানে জাগতিক স্বার্থের মোহ-মায়া প্রবেশ করতে পারে না
হৃদয়ের এহেন গভীরতম জায়গা থেকে উঠে আসা
শব্দাবলীর সমাহারে সৃষ্টি বলে
প্রকৃত কবিতা প্রতিটি কবিরই অত্যন্ত যত্নের ধন।

কবিতা কুলু কুলু রবে বয়ে
স্বপ্নিল প্রেমের ধারায় আবেশিত করে অন্তর,
দেশাত্মবোধের সুরে বুকে ও কণ্ঠে দেয় বলিষ্ঠ বিদ্রোহের গান আর
মানবতার তরে সর্বক্ষণ ঝরায় ভিতরে-বাহিরে রৌদ্রস্নাত ধড়ফড়ে মেঘের গা-ঘেঁষা বৃষ্টি। এছাড়াও ----

লেখার শুরু থেকেই পরিচিত জনদের গড়া
নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছি, হচ্ছি ও ভবিষ্যতে নিশ্চয় আরও হতে হবে।
দু’একজন ব্যতীত আপনজনদের কেউ বাড়ায়নি ক্ষণিক সহযোগিতার হাত
দেয়নি সাহস
অথচ দেখে মনে হয় কবিতা পাঠে মুগ্ধ হয়েও আড়াল থেকে
ফালতু কথায় সমালোচনা করেছে/করছে অনেকে যথেষ্টই।

স্বাভাবিক ভাবে তাই প্রশ্ন জেগেই ক্ষান্ত হয় না
বরং ভুখা পেটে মায়ের আশায় অপেক্ষারত ছোট ছোট নিষ্পাপ
পাখির ছানার মতো চিউ চিউ রবে অনবরত জানতে চায়
’যা লিখছি সত্যি কি তা কবিতা?’

আবার পরক্ষণেই ভেবেছি -

তুমি কি গো আমার কবিতা! (অ্যাক্রোস্টিক পয়েম)
====================@@@

তুমি কি আমার বুকে কবিতার সুর?
মিছে কুহকের গীতি না-কি সুমধুর?

কি জানি কি ভেবে মরি! হলে সবই ভুল,
গোপনে গোপীর বাগে কেন ফুটে ফুল?

আরশি নগরে রোজ উঠে যে সিতারা,
মানো কি দু’চোখের তার তোমারই ইশারা?

রজনীর শেষে এসে সোনা ঝরা রবি,
কচির কাঁপনে আঁকে সেও একই ছবি!

বিদিশা তবে কি চির তোমাতেই ঋণী,
তাপিত কাঁকন যদি বাজে রিনিঝিনি?