আসসালামু আলাইকুম,

পরম করুণাময় মহান আল্লাহ তায়ালার নামে আরম্ভ করলামঃ
অজ্ঞাতসারে করা ভুল ত্রুটি যেন তিনি
অধম বান্দা মেনে নিজ গুনে
মার্জনা করেন।


প্রতিটি মানুষই একান্ত গোপন ব্যাকুলতা এমন কাউকে জানাতে চান
যার কাছে নিবেদন করলে ’বেদনা ও বাঞ্ছা’ আস্থায় রূপান্তরিত হয়ে
বয়ে আনবে স্বস্তির নিঃশ্বাস। সত্যিই কি এমন কাউকে পান? অত্যন্ত
কাছের বন্ধুকে ক’দিন আগে আত্মার সঙ্গী ভেবে হৃদয়ের বহ্নিমান
গোপন কথাগুলো বিশ্বাস করে বলেছিলো যে লোক, আজ সে ভুগে
অন্তর্জ্বালায় কারণ সামান্য মনোমালিন্যেই সেই বন্ধুটি আজ তার সামনে
সবচে’ বড় বিপদের কারণ।

তাহাজ্জুদ কি?
তাহাজ্জুদ আরবি শব্দ।
দিনের ক্লান্তি নিয়ে রাতের একটা সময় সমগ্র পৃথিবীটাই ঢলে পড়ে
নিদ্রার কোলে। তাহাজ্জুদ হলো নফল এমন নামাজ যা সেই নিদ্রা
ত্যাগ করে রাতের শেষ তৃতীয়াংশে শুধু মহান রাব্বুল আলামীনের
সন্তুষ্টির জন্য আদায় করা হয়।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ফরজ নামাজের পর নফল নামাজের মধ্যে
তাহাজ্জুদকেই শ্রেষ্ঠ বলে অভিহিত করেছেন।
এছাড়াও তিনি বলেছেন - আমাদের প্রভু মহান রাব্বুল আলামীন
প্রত্যেক রাতের শেষ তৃতীয়াংশে দুনিয়ার আসমানে নেমে এসে
বলতে থাকেন ‘তোমাদের মধ্যে কে আমাকে ডাকবে, আমি তার
ডাকে সাড়া দিবো! কে আমার কাছে কিছু চাইবে, আমি তার বাঞ্ছা
পূরণ করবো! কে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আমি তার পাপ মার্জনা
করে দিবো!’
আমরা জানি ‘তিনিই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী যিনি আমাদের
সৃষ্টি করেছেন।’
সেই তিনিই যদি নিরজনে মনের কথা শুনতে চান এর চেয়ে
পরম আস্থার আধার আর কি থাকতে পারে।
কবিতাটি পড়ে আমার মনে হয়েছে সম্মানিত কবি এমন ভাবার্থই
তার কবিতায় তুলে ধরেছেন।
কবিতার সবচে’ দু’টি হৃদয়ষ্পর্শী চরণ -

’তাহাজ্জুদ একটি বিষ্ময়
প্রথম এবং শেষ আশ্রয়’

হৃদয়ে জাগ্রত অনুভূতি বিনে যা কখনােই লিখা সম্ভব নয়
বলে আমার ধারণা।

আমি দীর্ঘ দিন থেকে কবিতা আসরে নিয়মিত থাকলেও এটিই
সম্মানিত কবির প্রথম কবিতা পাঠ এবং প্রথম আলোচনা।
তাই সকলের কাছে অনুরোধ ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

পরিশেষে সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন
এই শুভ কামনায় আমার সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষ করলাম।