বর্গীভীতি
============================@@@
ছোটবেলায়-
মা যখন বর্গীর গল্প শোনাতো রাত্রিতে,
শিয়ালের ডাকে জড়োসড়ো মুরগী হয়ে
ঘুমিয়ে পড়তাম তার কোল ঘেঁসে, অবশেষে।
কৈশোরে-
’খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো’ পদ্যের মূলভাব
ক্ষণকাল মথলেই-
ধড়ফড়ে অনুভবে এসে দেখা দিতো দাসপ্রথার কৃষ্ণাঙ্গ।
যৌবনে-
বহুবার তাকে বলেছি
প্রয়োজনে আফ্রোদিতির সংকল্প বেঁধো
দুঃখ পাবো না,
শুধু হতে দিও না নিজেকে দস্যুরূপী বর্গী।
বর্গীর গ্যাড়াকলে পড়ে-
নিজের বুকেই নিজে
কখন যে হয়ে উঠেছি বর্গীর অধীনস্থ বর্গাচাষী
বুঝতেই পারিনি।
আজ মায়ের আঁচলটা টানাটানি করলেও চোর
শুঁয়োপোকার মতো খোলস ফেলে বলতে পারি না-
’হে পৃথিবী! চেয়ে দ্যাখো
চিরতরে ছুঁড়ে ফেলেই বর্গীভীতি এই আমি
স্বাধীন প্রজাপতি।’
============================@@@
পাঁচুপুর, আত্রাই, নওগাঁ।
০১/১০/২০২৪ইং।
@বোরহানুল ইসলাম লিটন