বাঁশির সুর
===========================@@@
ছোট্টবেলা-
পৌষের মেলা থেকে ফিরে
সমবয়সী বা একটু বড় দুষ্টুগুলো যখন
ঘুরে ঘুরে বাজাতো হরেক তালে পোঁহ পোঁহ সুর,
রাগ করে বিড়বিড়িয়ে বলতাম-
চাইলে আমারও থাকতে পারতো অনেক বাঁশি
কিন্তু নিইনি!
রাখালিয়া বাঁশির সুর খুব টানতে লাগলো কৈশোরে।
ভাবলাম-
যে করেই হোক
আনতেই হবে বাগে এই কাঞ্চা যন্ত্রটাকে।
হলো না-
ফুঁ দিতে দিতে যৌবনটাই শেষ হয়ে গেলো
বৃদ্ধের খেয়ার নায়ে।
’তৃষ্ণার্ত গল অদ্রির মতোই অটল’
পারিনি তাতে কি!
অনেকেই তো তুলছে সিঁধেল সুর,
এমনই একটা সোরাই থেকে না হয় খুঁজে নেব
এ তৃষ্ণার উত্তম নিবারক, পড়ন্ত বেলা!
হে বিধাতা!
প্রয়োজনে অতৃপ্ত রয়েই রাজী ছিলাম যেতে পরপারে
বিশ্বাস করো-
কল্পনাতেও রাখিনি
সুর এনে দিক এ কর্ণে কাণ্ডজ্ঞানহীণ নিরোর বাঁশি।
===========================@@@
পাঁচুপুর, আত্রাই, নওগাঁ।
০৭/০৮/২০২৪ইং।
বোরহানুল ইসলাম লিটন