-০১.
এইসব ভাঙ্গাচোরা নড়বড়ে
মধ্যবিত্ত নাগরিক যাপনে
প্রচণ্ড বিশ্রী রকমের একটা
বিরক্তি'র ছাপ লেগেই থাকে আজকাল।
বিরক্তির ছাপ নিয়ে'ই দু'ঠোঁটে'র মাঝখানে
সিগার জ্বেলে  ল্যাম্পপোস্টের
নিয়ন আলোয়  নিরুদ্দেশ হেটে চলি
শহরের এগলি ওগলি।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে'ই
ধাক্কা খাই...
সাদা লুঙ্গী সাদা শার্ট পরিহিত রসিয়ে রসিয়ে
পান খেয়ো এক বেশ্যার দালাল'য়ের সাথে।
তার শ্বাস-প্রশ্বাসে বেড়িয়ে আসছে
জর্দ্দার জঘন্য একটা গন্ধ।
ঠোটের দুপাশ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে পানের পিচকি।
চোখেমুখে লেগে আছে একটা খিলখিল হাসির ছাপ।
দ্যাখে ক্যামন য্যানো মনে হলো
পুরো শহরটা'ই আজ তারা কিনে নিয়েছে
মধ্যবিত্তের ব্যাক্তিগত
আয়েশ মিটিয়ে দেয়ার বিনিময়ে।
অথচ,
একজন বেশ্যা'র দালাল'য়ের ঢে'র আগে'ই
জেনে রাখা উচিৎ ছিলো ;
রাষ্ট্রীয় বারান্দায় ঝুলিয়ে রাখা
স্তন ভর্তি বস্তা দ্যাখে কখনো'ই
মধ্যবিত্তের লালা ঝরে নি।

-০২.
একজন বেশ্যার দালাল'য়ের জেনে রাখা উচিৎ ছিলো;
মধ্যবিত্ত আত্মাটা চৌধুরী'দের  
ব্যাক্তিগত ছাপোষা কুকুর নয় যে
বাসি রুটি,দুধ কলায় জিভের অগ্রভাগ বের করে দিবে।

-০৩.
সকাল সকাল কিছু না খেয়েই উর্দ্বশ্বাসে
অনেকটা অবাধ্য হোয়েই হেটে চলছি...
একটা চা'স্টলকে সামনে রেখে'ই
চা সিগারেট খাওয়ার ছলে একটু থামা।
দুধ চিনি বাড়িয়ে কড়া লিকারে
একটা চায়ের ফরমায়েশ দিয়ে'ই
ঠোটে গুঁজে দেই একটা সিগার।
চা'য়ের কাঁপে চুমুক দিয়ে মূখটা সরাতে'ই
একটু দূরে দ্যাখতে পাচ্ছি...
চাকরি'র খোজে বের হওয়া এক
মধ্যবিত্ত যুবক প্রচণ্ড জেদ কোরেই
অভিজ্ঞতা'র কাছে হেরে যাওয়া
মূল্যহীন সব সনদপত্তর
দুমড়ে মুচড়ে ছিঁড়ে ফ্যালছে।
তার চোখে মুখে দ্যাখতে পেলাম
রাষ্ট্রে'র এককের প্রতি তীব্র এক
বিদ্বেষ  কাজ করছে।
"চাকরি দে হারামজাদী নইলে
সন্ত্রাস'য়ের খাতায় নাম লিখাবো"।