আমি হয়তো লাশ হয়েই ফিরবো
কবিতাদের মিছিল হোতে
জলপাই রঙা কষ্ট বুঁকে চেপে।
অথচ,
এখনো বাবাকে লিখা হয়ে উঠেনি!
লিখা হয়ে উঠেনি;
প্রেয়সী'র ওষ্ঠ,নাভি,নিতম্বে একটা
সফল প্রেমের কবিতা!
লিখা হয়ে উঠেনি,
পবিত্র সন্ধ্যায় ধূয়ো উঠা
চায়ের কাপে প্রেমাসক্ত চুমুক।
কত আমাবশ্যা-তিথি,পূর্ণিমা-চাঁদ,
ঈদ-পার্বন,বিয়ে,জামাই ষষ্ঠী, অন্নপ্রাশন,
পেরিয়ে গ্যাছে কালের অতল গহ্বরে!
অথচ,
এখনো লিখা হয়ে উঠেনি;
বাবার একমাত্র ঘিয়ে পাঞ্জাবির
সুঁতো উঠা ভাঁজে চুপ মেরে বসে থাকা
চাপা কষ্ট,
ভালোবাসা,
কড়া শাসন।
লিখা হয়ে উঠেনি;
গ্রীষ্মের খরস্রোতা তপ্ত রোদনে
ক্লান্তিহীন অবসাদ নিয়ে ঘর্মাক্ত শরীরে
বাবার বাড়ী ফেরা,
লিখা হোয়ে উঠেনি;
রাতের খাবারে দস্তর খানায় বসে
পুঁটিমাছের ঝোল পাতে রুই মাছের
মাথা খাওয়া গল্পকথা।
লিখা হয়ে উঠেনি;
জলচৌকিতে বাবা পড়ছেন ফজরের নামাজ,
মধ্য দুপুরে নিকানো উঠোনে
মায়ের পিঠ খোলা ভেঁজা চুল।
অথচ,
চৌধুরী বাড়ীর নারকেল চুরি বিকেল,
বড়ই তলা,কুয়োরপাড়,ঘরের চালে পুঁই-লতা,
পুকুর ঘাট,এসবকিছু লিখার আগেই
হয়তো একদিন আমি লাশ হয়ে ফিরবো
কবিতাদের মিছিল হোতে।
১৮-০২-১৭