ডিমেনশিয়ায় ভুগছি।
এইতো একটু আগে প্রেয়সী'র ঠোটে
বিশ্বময়ভরে চুমু খাওয়াটাও ভূলে যাই আজকাল।
রাতের অন্ধকার শেষোলেই মস্তিষ্কের
নিউরন তরঙ্গে বেজে উঠে
হতাশা আর ব্যার্থতার দামাদোল।
আমি তো ভালোই ছিলেম;
রাতের অন্ধ প্রকোষ্ঠে,
শহরের অন্ধ সরুগলি হোয়ে
স্বচ্ছ অ্যামনিয়াটিক স্যাকের
পাতলা আস্তরণে ঘুমিয়ে।
যেখানে ছিলোনা;
সমাজ, রাষ্ট্রের বাঁধা ধরা শৃঙখল।
রাজতন্ত্র না গণতন্ত্র!
এ নিয়ে হোতো না কোনো শোরগোল।
হে রাষ্ট্র, ক্যানোই বা দ্যাখালে আমায়;
ভোরের সূর্য্য, মিথ্যে আশ্বাস,
এক থোকা মিথ্যে আশার ফুল!
ক্যানোই বা শিখালে আমায়
তোমার অ আ ক খ মাতৃভাষার বোল।
এখন বুকের বাম পাঁজরে গুমোট
এক অস্বস্তি নিয়ে শুয়ে আছি কবিতাদের মৃত মগজে।
তোমার কাঠফাটা গ্রীষ্মের খাঁ খাঁ রোদ্দুর
দুপুরটাকে যতটা সহজ আমি ভেবেছিলেম,
তা আসলে ততটা সহজ নয়!
গদ্যের মতোই গড়ল।
তাই বাধ্য হোয়েই আজন্ম
শুয়ে থাকতে ইচ্ছে করছে;
কবিতার উন্মুক্ত যোনী দুয়ারে,
পৌষের শুখনো মড়মড়ে পাতার বুক জুড়ে,
শুয়ে থাকতে ইচ্ছে হচ্ছে;
তনু,রিশা,খাদিজা'দের লাশকাটা ঘরের বারান্দায়,
ভিটে মাটি হারা হৃৎসর্বস্বদের মাঝে।
উদ্বাস্তু শরণার্থী'দের ভীরে।
এখন শুয়ে আছি একটা গণিকালয়ের পাশে।
ফুটপাতের ধূলোয় পাক খাচ্ছে রঙচঙা
পলিথিনের মোড়ক,পানের পিচকি,
এক লুতুরা কফের দলা,বাদামের খোসা,
বেজন্মাদের আধখাওয়া সিগারেটর ধ্বংশাবশেষ।
হে রাষ্ট্র, আমাকে বেশ্যার দালাল হতে বলোনা।
খদ্দের হতে বলো, ভালোবাসার চড়া দামে
খরিদ কোরে নেবো,
যৌনবেদনাময়ী কামুক রমনীদের।