পাঁচ বাই তিন ১০:৬ দৈর্ঘ্য-প্রস্থে
একটা লাল-সবুজের নিশান কিনেছি।
খোয়াড়ের চালে উড়াবো বলে।
আমি ৪৭-এর পশ্চিম পাকিদের শোষণ নিপীড়ন দেখিনি,দেখিনি ৫২"র ভাষা আন্দোলন, ৬৯-র এর গণঅভ্যুত্থান।
মায়ের মূখেই শুনেছিলেম..."৭১-র এর স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা দিয়েছিলো বুকের তাজা রক্ত অকাতরে প্রাণ!
স্বাধীনতা তুমি,
বাবার উল্লোসিত কণ্ঠে " 'আব্দুল গফফারের' জয় বাংলা... বাংলার জয় গান"।
স্বাধীনতা তুমি চির অম্লান!

বুঝলে অঞ্জন-দা,
বর্ণ-শব্দে ছন্দ মিলিয়ে এসব ক্যাবল কবিতার বই-য়েই বেশ মানান!
স্বাধীনতার পয়তাল্লিশ পেরিয়ে গেলো,
শেষোইনি শোষণ-বঞ্চনা বৈষম্যের অবসান।
কি করে উড়াই বলো ষাট টাকায় কেনা ১০:৬ দৈর্ঘ্য-প্রস্থে'র লাল-সবুজ নিশান!
কেওড়া বনে ঝুলছে দেখো সম্ভ্রম হারা নারীর শাদা পাজামা রক্তে ভিজে সবুজে মিশে হয়েছে ম্লান।

অঞ্জন দা,
বলো দেখি... কি করে আজ উচ্চারি মূখে বিজয়ের স্লোগান?
বিড়াঙ্গনা"র হাতে ভিক্ষার বাটী বড্ড বেমানান!
সত্যিকারের সৈনিক যারা,
পাচ্ছে কি তারা...
রাষ্ট্রীয় সম্মান?
ক্ষমতাসীনের শাণীতোস্ত্রে রাজপথে দেখো
যুবকের বুক ফেঁড়ে ফানফান!
প্রশাসন এখন খেলার পুতুল,
সরকারী গোলাম!

অঞ্জন-দা,
বলো দেখি কি করে আজ উচ্চারি মূখে বিজয়ের স্লোগান?

স্বাধীনতা, এবার তুমি চলে যাও,
বন্ধো করো তোমার মিটিং-মিছিল,সভা-সমাবেশ,বিজয়ের আহবান।
পরাধীনতার গ্লানি মুছবে যেদিন,
এই ধান-শালিকের দেশে,
করিবো তোমায় উদাত্ত আওবান!

১৬/১২/২০১৬