কেউ একজন আসুন
পাশে এসে বসুন।
চা'য়ের কাপে চুমুক দিন
সিগার ফুঁকার অভ্যেস থাকলে
ভাঙাচোরা ঠোটে গুঁজে দিন না হয়
একটা জীবন কাঠি।
আসুন তাহলে!
কথা দুয়েক ভাব বিনিময় সেরে
এইসব রাত্রি'র উলঙ্গ গতর ছুঁয়ে
জ্বলে পুড়ে আঙটা হ'য়ে এক সঙ্গে
হেঁটে যাই
কড়া নাড়ি নরকের দরোজায়।
অগ্রজ-অনুজ,বিজ্ঞ-অনভিজ্ঞ,
কবি-অকবি
কেউ একজন আসুন
পাসে এসে বসুন।দ্যাখুন;
একজন বোরহানুদ্দীন কিভাবে
চীৎকার লিখছে কবিতার খাতায়।
দ্যাখুন;
একজন বোরহানুদ্দীন কবিতার আদলে
কিভাবে লিখে যাচ্ছে
প্রতিশ্রুতি'র অপ্রাপ্তি।
উপভোগ করুন ;
কবিতা লিখা'য় একজন পরিশ্রান্ত
খিটখিটে মেজাজে বাবা'র
কর্কশ প্রতিক্রিয়া'র লাইভ টেলিকাষ্ট।
"চুৎমারানীর বান্দীর পুত এইসব কবিতা-সবিতা কি ত'রে ভাত দিবো"!
কেউ একজন আসুন
পাশে এসে বসুন।দ্যাখুন;
এক বাটী সাদা ভাতের কথা শুনতেই
একজন বোরহানুদ্দীন কিভাবে আতকে উঠে।
দ্যাখুন;
কিভাবে একজন বোরহানুদ্দীন
পিঠে চাবুক খাওয়া অশ্বের ন্যায়
ছুটে চলছে আটটা পাঁচটা আদর্শ সিডিউলে।
আমি খুলে দেই তাবৎ রঙ্গিন
স্বপনের দেরাজের কপাট।
চউখ কান খোলা রেখে দ্যাখুন,শুনুন;
কিভাবে একে একে বেড়িয়ে আসছে
লাল গানে নীল সুরের কান্নার
গোঙানীর শব্দ।
আপনি হয়তো কেঁদে ফ্যালবেন!
আবেগ'টাকে কন্ট্রোলে রাখুন।
কেউ একজন আসুন
পাশে এসে বসুন।
দ্বিতীয় সিগারেট ধ'রিয়ে দ্যাখুন;
রঙ তুলিতে আঁকা রঙ্গিন স্বপ্নগুলো
কিভাবে বিবর্ণ রঙ ধারণ ক'রে আছে।
কেউ একজন আসুন
পাশে এসে বসুন।
আপনাকে এঁকে দ্যাখাই;
চক স্লেটে আঁকা আমাদের
মধ্যবিত্ত নাগরিক যাপনের
সাদা কালো জীবনের প্রতিচ্ছবি।
কেউ একজন আসুন
পাশে এসে বসুন।দ্যাখুন;
কিভাবে একজন বোরহানুদ্দীন
পৃথিবীর কানা চউখে প্রেম খুঁজতে বেড়িয়ে
ভেঙেচুরে তছনছ হ'য়ে বাড়ী ফিরেছে।
অথচ,এর আগেই আপনি জেনে থাকবেন,
আদতে তার কোনো বাড়ী'ই নেই।
অথচ,
অনেক দূরে'র পৃথিবীর মূল্যবোধ
চর্চা করতে গিয়ে সে বুঝে উঠছে;
তার জন্মভূমি বাঙলাদেশটাই যে আজ
ছ-মাসের পোয়াতি!
শরীরে পানি জমে গ্যাছে।
বন্ধ হ'য়ে গ্যাছে নিয়মের ঋতুস্রাব।
সবুজ অন্তর্বাসের আড়ালে স্তনের বোটা
ধী'রে ধী'রে বড় এবঙ কালচে রঙ ধারণ করতে চলেছে।
বমি বমি ভাব,মাথা ব্যথা,খাবারে অরুচি,মূখ গলা পেট ক্রমশ কালো হ'য়ে আসছে।
কেউ একজন আসুন
পাশে এসে বসুন। শুনুন;
একজন মা'য়ের লণ্ডভণ্ড হ'য়ে
যাওয়ার আর্ত বিলাপ
যে মা'য়ের নিজের'ই জানা নেই যে,
তার গর্ভের অনাগত সন্তানের বাবা
আদতে কে?
১৫.০৫.১৭
বে।রহ।নুদ্দীন