ঘনিয়ে এলো সর্বনাশা সন্ধ্যা, তীব্র শীতসন্ত্রাস—
সমগ্র উত্তরবঙ্গ জুড়ে হাড়ের ঠোকাঠুকি
দাঁতাল শীত এক লহমায় টেনে নেয় আমাকে
তার পেটের ভেতর—
ঠাণ্ডা জল ও হাওয়ার বিরোধ উপেক্ষা করে
তোমার নামে দুহাতে মোমের ওম খুঁজি
আগুন পোহানো রাতে গেরস্থ ঘরের ভাঙা নদী
চলে গেছে নগরের দ্বারে দ্বারে—
হীমঘরে জমানো লাশ থেকে উঠে আসে
ভেজা ভেজা স্বর
কুয়াশার পৌরাণিক অন্ধকারে আচ্ছন্ন চোখ—
ভাষা খোঁজে অশ্রুর সুষমায়!
বস্তুত সুসমময় বলে কিছু নেই—সবই ঋতুকালীন ছলাকলা!
শুধু পাথরে পায়ের চিহ্ন,
রক্তরেখা ধরে বয়ে চলা—এক অনন্ত জীবন
পাতার পোশাক খুলে তোমার আঙিনায়
কবে নেচে উঠবে খোঁড়া বসন্ত—সেই অপেক্ষায় দিন গুনি!