কখনও চাইনি এই মাছের জীবন, শ্যাওলা শরীর
বরং বোঝাতে চেয়েছি বারংবার কোন বিষ নেই
এই স্পর্শকাতর আঙুলে নখড়ে
শিরদাঁড়া সিঁড়ি বেয়ে যেসব শব্দরা ওঠে নামে
তাদের চোখেমুখে আলোর উজ্জ্বল বিভা দেখে
কতোদিন করতলে থেমে গেছে রৌদ্রের নাচ
তবুও জানিনা কেন রাত্রির প্রসঙ্গ এলেই
কার্ণিশে ঝরে পরে মেঘের মেদ,দুঃস্বপ্ন গূঢ় সংকেতে
টুঁটি চেপে ধরে; রক্তে ফুঁসে ওঠে কালসাপ!
অসুখের আবেগ থেকে উঠে আসে নিষিদ্ধ স্বর;
ভেঙে ফেলি বর্ণচোরা অক্ষরের সাজানো সংসার!
অথচ বোঝাতে চেয়েছি বারংবার শীতের লেজে পা দিয়ে
বসন্ত নিয়ে মেতে ওঠা সুন্দরীরা আমার কেউ নয়
পড়শির গালিগালাজ শুনে অভ্যস্ত কুকুরটাই
আমাকে শেখায় ঋতু পরিবর্তনের ব্যাকরণ
তাকে বোঝাতে পারিনি, নাভিমূলে আগুন খুঁড়ে
উত্তাপ আনার প্রক্রিয়ায় কতোটা জটিল হয়ছে মাংসের জীবন
আর সান্ধ্যকালীন তৃষ্ণা পেলে যেকোন তরল
কেন প্রিয় হয়ে ওঠে আত্মগ্লানিতে ডুবে থাকা এই শহরে!