জীবন আকাঙ্ক্ষার উজ্জ্বল পাথর। ছুঁয়ে আছি জঘন অন্ধকার—
কোন কিছু না বলে নিঃশব্দে ঢুকে পড়ি তার চোখের ভেতর;
বসে থাকি চুপচাপ—
অথচ প্রতিটি ভাঁজেই লুকিয়ে আছে সেলাই!
ঝুলে পরা রাতের শরীরে জল ও আয়নার পার্থক্য বুঝে উঠতেই
ঈর্ষার আগুন কামড়ে ধরে ঠোঁট—
ভুল প্রার্থনায় অন্ধত্ব যাপন—খুঁড়িয়ে চলা পথ;
জল্লাদ বাতাসে আলপিনের গান, মৃত পাখিদের শোক!
দরজা খোলার আগে ভাবতে হয় কী কী অসুখ
ঢুকে পড়তে পারে জ্ঞাতে ও অজ্ঞাতে ঘুমের ভিতর
চেতনা শূন্য হলে—
ভেবে রাখি সমস্ত বাক্যের শেষে সুনির্দিষ্ট যতিচিহ্নের ব্যবহার।
ঝলকানো নাগরিক বৈভবে বিজ্ঞাপন অলংকারে সজ্জিত
বিষাদাক্রান্ত প্রেমিকার মলিন মুখ—
তার কথা মনে হলে সহস্র জনতার ভীড়ে জনশূন্য হই!
এক স্বপ্ন থেকে আরেক স্বপ্নের গভীরে যেতে যেতে
শরীর ভরে ওঠে দলাপাকানো শব্দে; শত্রুবৎ ঘিরে ফেলে নিষিদ্ধ জলস্বর—
তরঙ্গ ভেঙে ভেঙে উঠে আসা চুম্বনে ধরে রাখি যাবতীয়
সাংসারিক কোলাহল—
জীবন আকাঙ্ক্ষার উজ্জ্বল পাথর। তার মুখের দিকে চেয়ে আছি
বলি,হে সুন্দর—চেতনা খুলে দাও, বোধ খুলে দাও, চক্ষুষ্মান করো
ঘুচে যাক এই অন্ধত্ব যাপন!