তৃষ্ণায় ভিজে ওঠা মুহূর্ত!
তোমার জল আমাকে ছোঁয় না    
লেপ্টে আছি ছায়া,শোক,আশ্চর্য বিষাদ বিজ্ঞাপন
ঘড়ির কাঁটা, ঝলসে ওঠে চোখ ধাঁধানো
রঙিন দেয়াল—

তার ভেতরে তুমি ছিলে,শব্দহীন?
হাত-পা-লিঙ্গ-মাথাসমেত মুছে যাচ্ছে মানুষ!
সহ্য হয় !
এখনি ভেঙে পড়ো না চিৎকার,দ্বিখণ্ডিত কণ্ঠনালী—ঝুলে থাক !
    
আলোয় আলোয় তোমাকে নিয়ে এমন খেলা—হুররে!
ধর্ম ভুলে ফুলে ফুলে এমন বিদ্রুপ
তুমিও সয়েছিলে?  

ঢেউ ভেঙে ভেঙে কাছে আসে গোপন স্নান,রহস্য গন্ধ
তার ভেতরে তুমি ছিলে শীতের গান ভুলে
দ্বিধান্বিত একক সন্ধ্যা, বসন্ত!    

একে একে খুলে ফেলি যা কিছু ব্যক্তিগত,
এমন কি ঈশ্বর, আত্নার অতিরিক্ত মাংস!  
চমকে দেয় অবিশ্বাসী হাওয়া, ইশারা—
ঘাতক চোখ,রক্তাভ!
তার ভেতরেও তুমি ছিলে,তীক্ষ্ণ ধারাল—!  

রক্তমাংসের উষ্ণ খাঁজে অবশিষ্ট আয়ু চাটে ক্লান্ত জিভ
তল থেকে অতলে ডোবার
মন্ত্র জপতে জপতেই ভেসে উঠি, ঘুরতে থাকি
বোধের বাহিরে একা, অন্ধ—

কাটাছেঁড়া করে যা কিছু পাওয়া গেল
ধ্বনিহীন বৃষ্টির মত খসে পড়া
একটা ভোর, আগুন মাখা—

গ্রহণ করো, শিকর ছাড়া তোমার অতল
অন্ধকারে সাধ্যমত আমার এই ছড়িয়ে থাকা
গ্রহণ করো, সশব্দে ফেটে পড়ি!