এভাবেই বসে থাকি মুখোমুখি পরস্পরের হৃদপিণ্ড ছুঁয়ে, শব্দহীন! আলোর পাশে অন্ধকারে স্বৈরিণী রক্তমাংস, লাফিয়ে ওঠে চতুর জল। তার চক্রে যতো জিজ্ঞাসা আর জীবনের অন্তর্নিহিত তাৎপর্যের ভেতর কেমন পুড়ে যাচ্ছেন স্বয়ং আমার ঈশ্বর ! আমি, তোমার আগুন ছুঁয়ে জ্বালিয়ে রাখি জলমগ্ন শরীর আর যতসব উদগ্র বাসনা তিক্ত করে তোলে—; লুঠ করে নিয়ে যায় আমাকে শয্যার নরম থেকে উঠে আসা কর্পোরেট ঘুম; আত্মপ্রতারিত! জীবন্ত কবর থেকে ছুটে আসা এইসব আর্তনাদ আমার সমস্ত ছন্দ সুষমা ব্যর্থ করে দেয়! তুমি শব্দের ভেতর গভীরতর শব্দ হয়ে শুয়ে থাক নিশ্চুপ! অবশিষ্ট ক্ষত মুছতে মুছতে পরিত্যক্ত অস্থি কঙ্কাল ফিরিয়ে দেয় প্রতিপ্রার্থনা— আমার ঈশ্বর, আমার আগুন; পথ তবুও ফুরায় না, প্রতিচিহ্ন থেকে যায়—তুমি বিরূপ হলে ভেসে যাবে সমস্ত পরিত্রাণ এমন আশঙ্কায় গাঢ় ঘুমের পাশে একা জেগে থাকে অন্ধ গাছ; তার গান শুনি—সমস্ত হা্রানোর আগে টের পাই কিছুটা রোদ্দুর এখনো আছে! উঠানে গন্ধ ছড়াতে ছড়াতে কখন নিভে গেছে ফুল !
কবিতাটি ২৭৮ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের সময়: ০৪/১০/২০২১, ১১:৩৭ মি: