নিকেরী আঁশটে ঘ্রাণে ব্যক্ত হয় আলেয়া গ্রাম;-
আমার মৎস্যগঙ্গা, বিষাদ নদীমাতা।
ঘরোয়া রাতের আঁতুর চাঁদ, শ্রম বাড়ীর
অবমর্ষ উঠোন, বহ্নি আদরে রোপিত
মদির আবছায়ায়-
প্লাবনের ত্রস্ত সংসার।
স্নেহ নদী; তোমার লুটে যাওয়া দিনান্তের ঢেউ-
বায়ুঘর্ষে হাহাকার হয়ে আসে,
লীন হয়ে দূরত্বের ডিংগায়,
অসংক্ষিপ্ত পাললিক অভিপ্রায়ে।
তীর্থ প্রান্তর সমুদ্র সঙ্গমে ধাও নক্ষত্র ইশারায়।
জানি, জোছনায় যৌবন উথলাও-
মেলে ধরো জোয়ার পেখম,
প্রতিপ্রবাহের গান শোনাও প্রবীন মমতায়।
আমি, অজৈবনিক নিকেরীগন্ধা গ্রাম
প্রবল মৎস্যমাতৃক,
বয়ে চলি অসংলগ্ন তোমার সমান্তরাল...।।
হায়! ভোর আসে না.........।।