খুব তাড়াহুড়া করে, উর্ধ্বশাসে ছুটছি,
বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলো বলে,
সঙ্গে  নিয়ে চলছি, প্রত্যাশা ,হতাশা, ক্লান্তি
নূরী, কাংকর, পথটাও চলচ্ছে, পায়ের তলে।

বেসুরো গলায় কে যেন, ডাকচ্ছে,
কন্ঠটা একটু, চেনা, চেনা,
খেয়াল না করেই, এগিয়ে গেলাম,
গন্তব্যের শেষ বাঁক খানা।

চারিদিকে প্রায় অন্ধকার ছুঁই, ছুঁই,
ঝিঁঝি পোকা ডাকচ্ছে,
আবারও সেই, একই গলা,
খানিক কাঁপা, কাঁপা লাগচ্ছে।

থমকে দাঁড়ালাম, একটু বিরক্ত হয়ে,
অগাান্তকের দিকে ফিরে,
কিছুই দেখা গেল না,
পাখিরা উড়ে যাচ্ছে, যে যার নীড়ে।

হঠাৎ শনশন বাতাসে,
দুলিয়া উঠিল, গাছের পাতারা,
পথের ধুলো ছুটচ্ছে দিক বেদিক ,
ভাসিয়া উঠিল, একটি মুমূর্ষ চেহারা।

বলিল আমায়,  দাঁড়াও একটু,
কথা আছে তোমার সনে,
যেও নাকো ফেলে, একা করে আমায়,
এই অন্ধকার গহীন বনে।

হাঁপাতে হাঁপাতে বিলাপের সুরে,
কাকুতি, মিনতি করে,
সঙ্গে তোমার, নিয়ে যাও তুমি,
হাতটা আমার ধরে।

বলিলাম তারে, ডেকো না আমায়,
বয়ে যায় মোর বেলা,
দেরি হলে যে,  দেখবো না আর,
রং, তামাশার খেলা।

বড়োই পাষাণ পথিক তুমি,
নাই কো তোমার মায়া,
কতই আপন ছিলাম তোমার,
সঙ্গী ছিলাম, হয়ে ছায়া।

ফাগুন দিনের সুখ দিয়েছি,
দিয়েছি ফুলের ঘ্রান,
বৃষ্টি ভেঁজা  রাত দিয়েছি,
জুড়িয়েছি তোমার প্রান।

যা পেয়েছি, তোমার থেকে,
হারিয়েছি তার বেশী,
দাওনি তুমি ফিরিয়ে আমায়,
তাইতো তুমি দুষি।

বড্ড বেইমান মানুষ তুমি,
জানা ছিল না আগে,
এক জীবনে, এতো পেয়েও,
তবুও তোমার আরো লাগে?

সঙ্গে তুমি, নাই বা নিলে,
জানায়ো সকল জনে,
বন্ধু হয়ে ছিলাম তোমার,
রাখিয়ো আমায় মনে।

ফুরিয়ে যাওয়া, আমায় তুমি,
স্মরণ,করিবেই একদিন,
সেদিন থাকবো, অনেক দুরে ,
হয়ে যাবো আমি বিলীন।

পাথরের মতো দাঁড়িয়ে রইলাম,
কথা এলো না, আর কানে,
অভিমান করে, অভিশাপ দিয়ে,
সে, চলে গেল গোপনে।

নতুন দিনের বাতাস বইছে,
সারা দুনিয়া জুড়ে,
কি জানি বেথ্যা, বাজিল প্রানে,
অজানা করুণ সুরে।

বাতাসেরা গাঁ ছুঁয়ে যায়,
দিয়ে যায় ফুলের ঘ্রাণ,
সময়ের সাথে আলাপনে
আজ, জাগিলো নতুন প্রান।