ডাকপিয়নের কাছথেকে লাইলী
গোপনে চিঠিখানা পেয়েছে ,
লাইলীর জানা , চিঠিটা কার ,
প্রিয় মজনু তাকে লিখিয়াছে।
ওড়নার আড়াল করে সেই দিন
বিকেল বেলা ,
বসুরামের বড় দীঘির পাড়ে
চিঠি পড়ছে , লাইলী একেলা।
চঞ্চল চাহনীতে , খুলিয়া
মজনুর চিঠিখানা ,
তাহাতে কি লিখিয়াছে ,
এখনি হইবে তা জানা।
প্রিয়তমা লাইলী , আমার
ভালবাসা সকলি তোমার জন্য ,
তোমাকে যবে কাছে পাবো ,
তবেই হবো আমি ধন্য।
আজি আমার মনটা
ভীষণ রকম খারাপ ,
কষ্টে বুকটা ফেঁটে যাচ্ছে
মাথা থেকে বেরোচ্ছে উত্তাপ।
সে দিন গিয়েছিলাম লোকালয়ে ,
বিশেষ জরুরি কাজে ,
গিয়ে দেখিলাম , দশ কি বারো
বছরের মেয়েদের, অদ্ভুত সাজে।
আঠারো , বিশ তারও বেশি
কত কপোত , কপোতী ,
অবাধে তাহাদের মেলামেশা,
নেই তাতে কোন রীতিনীতি।
পার্কে আর রাস্তায় , সবখানে
তাহাদের বিচরণ ,
অশালীনতায় মোড়া তারা ,
অদ্ভুত তাহাদের আচরণ।
খাবার হোটেলে , আড়াল করে
বসে তারা মত্ত ,
আবাসিক নামক আশ্রয়ে গিয়ে ,
বিলিয়ে দিচ্ছে তাদের সতীত্ব।
দম্পতি কাহারা চেনা দায় ,
তাহাদের ভিড়ের মাঝে ,
স্কুল পড়ুয়া যুগল দেখে ,
আমি পড়িলাম ভীষণ লাজে।
মোটর বাইকের পিছনে দেখিলাম ,
আধশোয়া কত মেয়ে ,
পোশাকে তাহাদের চেনা যায় না ,
বোঝা যায় , কাছে গিয়ে।
চুলগুলো তাহাদের পাকিয়া গিয়াছে ,
চোখ ঢাকিয়াছে কাঁচে ,
উচ্চশব্দে গান বাজিয়ে ,
উম্মাদনায় তারা নাচে।
তাহারা নাকি প্রেমে পড়িয়াছে ,
আমাদের দোহাই দিয়ে ,
প্রেমই তাহাদের একমাত্র উদ্দেশ্য ,
করিতে হয়না বিয়ে।
তাইতো আজি , হাত কাঁপিতেছে
আর পারছিনা লিখিতে ,
বিদায় জানাই প্রিয়তমা ,
চিঠির শেষে ইতিতে।