'বাস্তিলে'র পায়রাগুলোর অস্তিরতা হয়তো কেটে গেছে। দূর্গে দাঁড়িয়ে আছে স্মৃতিস্তম্ভ । যেখানে মানব আর দানবের সঙ্গমে রচিত দীর্ঘ ইতিহাসের সমাপ্তি ঘটেছিল। শ্রেনীবৈষম্য, সামন্তপ্রথা আর অসহায় মানুষের চিরক্রীতদাস জীবন বিকৃত করেছিল মানুষ সৃষ্টির ইতিহাস । বৈষম্য শোষণ আমৃত্যু নির্যাতনে বেঁচে থাকা। বর্জুয়া আর শাসক গোষ্ঠীর ঈশ্বরত্মের কলংক , ঈশ্বরের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয় সংশয়বাদীরা । নির্বিকার ঈশ্বর আর অসার দৈবশক্তি। প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল অসহায় আক্রান্তরা। যেভাবে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে ঘুরে দাঁড়ায় মানুষ।
বিদ্রোহ ছাড়া বিপ্লব হয়না। বিপ্লবের শুরু আছে শেষ নেই। আজ থেকে প্রায় দুইশ ঊনত্রিশ বছর আগে বিপ্লবের সূচনা হয়েছিল। এই দিন প্রতিবাদ , প্রতিশোধ আর মুক্তির নেশায় উজ্জীবিত প্রদীপ্ত প্যারিসবাসি নেমে এসেছিল রাস্তায়। লক্ষ্য ছিল নরক খ্যাত 'বাস্তিল' দূর্গ । রক্ষীদের হাতের কেড়ে নেয়া অস্ত্র গর্জে উঠেছিল 'বাস্তিলে' । বর্জুয়া আর শোষক রাজার মসনদে বয়েছিল নরকের দাবানল। তারপর দীর্ঘ পরিক্রমা আর প্রেক্ষাপটসমুহ সব যেন ন্যুজ্ব হয় সূচিত বিপ্লবের কাছে।
বিপ্লবের ফসল স্বাধীনতা-সমতা-ভ্রাতৃত্বের দৃঢ় বন্ধনে আর লাল-সাদা-নীল রঙের পতাকা হাতে প্রজন্ম আজো জমায়েত হয় 'বাস্তিলে' আর মুখরিত হয় 'সম্জেলিজে' । ইতিহাসের পাতায় ভর করে তাদের কন্ঠে উচ্চারিত হয় - "আলজ অনফো দু লা পাতখি। লু জোখ দু গ্লোয়া এ আখিবে। কন্ত নো দু লা তিখানি। কন্ত নো দু লা তিখানি...." ।