ওই ধোঁয়া উঠছে...।
গাছের পিছন থেকে,
পাঁচিলের পাশ থেকে,
কলেজের ক্যান্টিনে,
ইউনিভারসিটিতে
অফিসের করিডরে,
পথে ঘাটে বাসে ট্রামে,
দশক দশক জুড়ে,
বহু বহু যুগ ধরে
শতাব্দী পার করে,
দেখ, ধোঁয়া উঠছে।
ওই ধোঁয়া মুখে নিয়ে
শতাব্দী পুড়ছে।
ফুসফুস জুড়ে তার
কালো ছাই জমছে।
পোড়া সেই শতকের নবজাত সন্তান,
দু আঙুলে সিগারেট,
চোখেমুখে টেনশন।
ঠোঁটদুটো কালো তার,
ফুসফুসে ক্লান্তি,
বুকজুড়ে দাবানল,
রক্তে অশান্তি।
কাগজে কাগজে ওই
সতর্কবার্তা --
তামাক ভয়ঙ্কর,
প্রাণনাশ-কর্তা।
তবুও তামাক পোড়ে,
তামাক তো পুড়বেই!
কালো কর্কট -ছায়া
থাবা তার বসাবেই।
যতই নিষেধ কর,
তত বেশী ধূমপান
আগুন না নিলে ঠোঁটে
থাকে নাকো জাত-মান।
শতকের আহবান-
ছুঁতে হবে টার্গেট!
যত বাড়ে টেনশন
তত পোড়ে সিগারেট।
"চাপে" প্রাণ হাঁসফাঁস
ধূমপানে কাটে জট,
শতকের ফুসফুসে
বাসা বাঁধে কর্কট!