বালুচর যেন আমার বক্ষ, তপ্ত বালুচর
কল-কল জল উঠেছিল কবেই
চরে চড়ে খেলছিল ঢেউ জোয়ারে
তবুও নাড়াতে পারেনি আমায়
আমি কঠিন হয়ে গেছি দিনে দিনে
আমার হূদয়সীমা বেধ করতে পারেনি জল লহর
আন্দোলীত ঢেউয়ের কলতান
পারেনি আমায় বিনোদিত করতে ।
হয়ত শারদ জোছনা রাত লেহা বিস্তরে দোলছিল ।
পার্শ্ব নদী কিনারে লহরীত ধবধবে কাশ ফুল
আপ্লুত আবেগে ঝুলছিল পুরাণের মেনকার মতো
আবেগের রাশে রাশে ভাব পরশে
আমাকে দোলাতে চেয়েছিল অনুরাগ মাঝে
আমি শক্ত বিষম ভাবে শক্ত পলি বালুচর
যুগ যুগ ধরে জমে উঠা বহর ধুলি কণায়
ফলায় না অঙ্কুর কোনো, রসহীন বুকে ।
হ্যাঁ! তোমায় ভালবেসে, না পাওয়ার বশে
আমি এখন রোদে পুড়া তপ্তস্ফুট বালুচর
পুড়ে পুড়ে তপ্ত হচ্ছি তোমার বিচ্ছেদ আগুনে ।