একটা সময় ছিলো
যখন তখন তাকে ফোন করতাম ,
দিনে দিনে আজ তা’ প্রায় শূন্যের কোটায়
যে ফোনটা ক্রীং ক্রীং বেজে উঠতো দিনে সতের বার ,
কমতে কমতে আজ আর বাজে না ।
কাউকে ভাবার আগে তার কথা মনে হতো।
সময় অসময়ে ছুটতাম তার কাছে
সেও আসতো ছুটে , প্রানের টানে বা তার প্রয়োজনে ।
এক সময় সব প্রয়োজন ফুরিয়ে যায় ,
যোগাযোগের তালিকায় নামটাই আর থাকে না ।
ফোন কিংবা দু’জনার আসা যাওয়ার
তাগিদটাই যায় ফুরিয়ে ।
অতচ আমার জন্য তার ভালোবাসায়
খামতি ছিলো না কোনো,
তাকেও বেসেছি ভালো সবটুকু দিয়ে সারাকাল।
হেঁটেছি মাইলের পর মাইল পথ, হাতে রেখে হাত
দিনরাত খেয়া পারাপার একসাথে হাসি কান্না,
সুখে দুঃখে দেয়া নেয়া আনন্দ বেদনার ভাগ —
কতকাল কতদিন হিসেব করিনি কোনদিন।
কিন্তু স্মৃতিতে জমে ধুলো,অতীত হয়ে যায় ধোয়াচ্ছন্ন ।
তারও কিছু পরে , একটা সময় আসে ,
ফোন নাম্বারটা কিংবা তার চেহারাটা , কোনোটাই আর
মনে করার সময় থাকে না ।
হঠাৎ কোন এক পড়ন্ত বেলায়
বৃষ্টি পড়া সন্ধ্যায় , নিরালায়-
যদিবা তার কথা মনে পড়ে ,
হাহাকার করে ওঠে মন ,
মোচড় দিয়ে ওঠে অন্তর ।
মানুষটা এখন কোথায় আছে,,
কেমন আছে........?
হাত বাড়ালেই যাকে ছোঁয়া যেত,,
চোখ মেললেই যাকে দেখা যেত,
সে এখন যোজন যোজন দূরে।
জীবনের ঘাত--প্রতিঘাতে
বাস্তবতাকে আমরা অস্বীকার
করতে পারিনা ।
তবুও শত অধিকারের
অভিমান বুকে চেপে আমরা বেঁচে থাকি।
অসহায় বেদনায় যন্ত্রণায় নীল হয়ে যাই।
এভাবেই একদিন সব লেনদেন শেষ
করে হারিয়ে যাই
বিষন্ন মেঘমালার ভীড়ে.....এই তো নিয়ম ।