মাঝ রাত্রে বিষণ্ন চাঁদ আর ব্যস্ত ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ মনটা কে বেশ হালকা করে দিয়েছিল।
হটাৎ, ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠার শব্দে মোহ ভেঙে গেলো।
বিছানার অপর প্রান্তে কে যেন ফুঁপিয়ে কাঁদছে!
হতচকিৎ, পরিশ্রান্ত আড় চোখে চেয়ে দেখলাম,
কেউ তো নেই!!
চোখটা যথা সম্ভব ছোটো করে দেখলাম - না কেউ নেই,
কান্নার শব্দটা ও তো কোথায় উধাও।
হটাৎ করে মনটা আবার খুব উদাস হয়ে গেল
অতীতের কষ্ট আর ভবিষ্যতের চিন্তা গুলো সারা শরীরে অসহ্য যন্ত্রণার সৃষ্টি করছে।
কোনো ভালো কাজ না পাওয়া, ছেলেটার ভাবনা গুলো
আমার ভাবনার সাথে মিলে সারা রাত জেগে কাটিয়ে দেয়।
একমাত্র, রাতের অন্ধকারেই নিজেকে খুব বীর পুরুষ বলেই মনে হয়।
দিনের আলোতে মনের জটিলতা গুলো জড়িয়ে ধরে অসহায় বানিয়ে ফেলে ঘরের কোণে।
মা-এর আদর করে দেওয়া নামটাই জীবিত শরীরে সঙ্গে।
রক্ত, মাংস দিয়ে গড়া শরীরটা তে আজ শুধুই অদৃশ্য ক্ষত, যাতে অনেকেরই বসবাস।
একদিন এই শরীরেই, বুকের ডান পাশটিতে এক টুকরো অনন্দময়ীর বাস ছিল।
আজ সেই বাসায় শুধু স্মৃতি আর কষ্টের বিরান ভূমি।
আজ বিরান ভূমিতে এসেছে প্রবল বান,
সব ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার কষ্টে কাঁদছে ক্যাকটাসের প্রাণ।
✍️ সুব্রত পাল