রূপেতে নয়ন যায়না ভাসি,
শ্যাম বর্ণ, তবুও মধুর ভাষি।
আত্মগ্লানিতে পূর্ণ তাহার চোখের প্রতিটি দৃস্টি ।
অন্ধ তারে ভাবলে ভাবিও সে তোমার মনের ভূল।
কিঞ্চিত খুদা মনেতে চাপিয়া, নিদ্রা জয় না চোখে ।
পেটেতে খুদা অগাধ, তবুও জ্ঞানের ভিখারী।
ধুলো মাখা ওই চরণ যুগল, কমল পাথরী।
হৃদয়ে আজও এতো স্নেহ, কারবা আছে বেঁচে।
দুই বাহু তুলে শ্রী চৈতন্য করেছিল হরি নাম।
হরি নাম ছাড়া শ্রী চৈতন্য, কী করেছেন দান ?
আমার গুরুবর দুই হাত ভরে দিয়েছে আমার সম্মান।
এগিয়ে দিয়েছে সবার অগ্রে কনিনিকাটি করে।
তবু যে তিনি গর্ব টুকু করে অন্তরে অন্তরে ।
তোমার কর্ন শরমে ডুববে, গুরুর ভাষাতে।
তারপর থতমত হয়ে ভাববে কী উত্তরদি উনাকে !
বাঁধ ভাঙ্গা নদী কতো যে আজ প্লাবিত তোমার ছোঁয়ায় ।
সমুদ্রের একমাত্র উৎস হয়ে, বড়ো বড়ো রব জানে ।
তুমি আজও সেই পদ্মাপাড়ের কল্পতরুই রলে ।