বৈষ্ণব,
বৈষ্ণব তুমি কর্মে হরি, কর জোড়ে প্রনাম করি।
পদধুলি খড়মে মাখা, খড়ম তলার আশীর্বাদে।
ললাটে বুনি পদ্ম লেখা।

চৈতন্য,
হরি তুমি শিব ভক্ত,শিব নামেই চৈতন্য।
নৃপ কর্মের গোলাপ জল,এ যেন কলির
বেহুলার বল।

হরি,
তিন লোকে করিলাম ভ্রমণ, হরি নামে
মত্ত সব জন। আমার যথা, তোমার তথা
হরির পুজোয় বিসর্জন।

ঝাঁই,
ঝাঁই-র সুরে কৃষ্ণ নাচে, সঙ্গে নাচেন রাই।
মাথায় আছে বংশ মুকুট, হাতে কীর্তনের
ঝাঁই। কলির কির্ত্তনে ভরেছে এখন
শুধু নগ্নতাই।

ঢোল,
কির্ত্তনে যখন মত্ত সবাই, ঢোলের সুরের
নেশাই নেই। বিদীষ্না তার অন্তরঙ্গে, তবুও
দেখো নাচছে রাই। মৃত্তিকা তার প্রাঙ্গনে নেই।

শ্যামল,
শ্যামলা বনের সপ্ত অঙ্গ, শিশির ভেজা
মধুর অঙ্গ, সম্মোহিত বাঁশির সুরে
শ্যামলা এখন যমুনার জলে।

জন্মাষ্টমী,
কৃষ্ণ এখন জন্ম নিল কলঙ্কিনী
ঘরে রইলো, ভত্সনার ঐ কালো ঝড়ে
কৃষ্ণের কলি আবার ফুটিল, কলঙ্কিনী
রয়েই গেলো।

যৌবন শক্তি,
তোমার যুগল যৌবন ভরা,রাধা-মাধবে
যে হারায় ধরা। স্বপ্ন এখন যৌবনের টানে
রাধামাধবের তৃপ্তি আলিঙ্গনে।

আলিঙ্গন,
রাধার এখন সিক্ত নয়ন, কৃষ্ণকে চায়
করিতে চয়ন। বস্তু দোষে কর মর্দন। কৃষ্ণ
লাফায় রাধায় মগন।

কলঙ্কিনী,
ধরা এখন কলঙ্কিনী, আলিঙ্গনে সবাই ঋণী।
তৃপ্তি এখন বাক্স বন্দী। চাইছে সর্ব রাধায়
সন্ধি, আঁকছে তাই সবাই ফন্দি।