রক্ত মাখা বক্ষ যুগল , উত্থিত তার হৃদয় ।
কম্পিত হায় বক্ষ-যুগল , আলোড়ন তুলে যাই ।
সপ্ত-সূরে বাজিয়ে নূপুর , মুক্তো তোলে ঢেউ ।
বজ্র বীনায় ওঠে ঝংকার , তুমি আমার কেউ !
শত রোদ্দুর শত লাঞ্ছনা ,সইছি আমি আজ ।
তুমি থাকবে আমার সঙ্গে , ভাবছি ফেলে কাজ ।
শব্দ মাখা শারথী হয়ে , সোনালী রোদ মেখে ।
রোদ্দুর হয়ে উড়ে চলি , আমি সাধনার দেশে ।
বন্দনা এই কঠিন জীবনের , মুখরিত এই সরোবর ।
বুক ফাটা গ্রীষ্মের মঠের , সবুজ বনানীর স্বাচ্ছন্দ ।
কাটা ঘায়ে গোলাপ ফুটিয়ে , প্রেয়সীতে সাধনা ভালোবাসার ।
নূপুরের ছন্দে নাচে আমার , দুই নীল পদ্ম ।
স্তম্ভিত আমার বক্ষ জুড়িয়া , নাচে হৃদস্পন্দন সারাক্ষন ।
তবুও আমি অবাধে তুলি , প্রেয়সীর নামের গর্জন ।
বোধিতে পারিনা যে আমি , সে কার অনুগামী ।
তবুও হাসছে আনন্দে আমার , অন্তরের নীল-পদ্ম ।
কম্পিত ওষ্ঠে বেদনার স্বর্গে , ভূচ্ছাস হোলো আনন্দের ।
তবুও আমি প্রারম্ভের পেছনে , দুলছি হাঁটুর কোমরে ।
------সুব্রত পাল------
তাং : ১০/০২/২০১৬