তোমার রূপের বন্যা আমার
প্রানের দুকুল ভাসালো।
তোমার আসার সময় মাত্র
তোমার দিকে তাকালো।
তুমি ছিলে কোথায় ওগো
দেখতে তোমায় পাইনি।
আমার প্রানের অস্থি গুলো
ভেঙে ছন্ন ছাড়া।
আমার প্রানের অস্তিত্ব আর
রইলোনা কোন বেলা।
তোমার রূপের মুগ্ধ সেই যাদু
আমার মনকে কোরলো বেকাবু,
তোমার প্রানের বীভৎষ সেই গান
আমার প্রাণকে কোরলো কয়খান!
তোমার কালো হরিনি চোখ দুখান
আমার প্রাণে গর্তের ম্লান
তোমার ঠোঁটের ওপর একবিন্দু জল
দেখলে প্রান করে হানচান
তোমার মুখের আওড়ানো সেই শব্দ
মনেহয় বুকের ওপর বজ্র্যতপ্ত।
তোমার দুষ্টু বুদ্ধি জানি;
লেখার বদলে খালি চিঠি খানি
লেখা চিঠি দেবার নয়
শুধু খালি চিঠি ধরিয়ে দাও
কালি শেষের নেইতো ভয়
আছে যদি সেসব ছেড়ে দাও
কালি শেষের কোরোনা ভয়
কালিতো কোনোদিন শেষ হবার নয়
ভরা চিঠি পাঠিয়ো আমায়
খালি চিঠি খানা সরিয়ে রেখে।
ভরা চিটির আশায় আমি
থাকবো বসে সারা প্রহর
জানিনা তুমি দেবে কীনা?
থাকবো আশার প্রদীপ জ্বেলে
ভরা চিঠির স্বর্ন লেখা
থাকবে আমার বুকে গাঁথা
ভরা চিঠির নীচের কোনে
থাকবে তোমার নামটি লেখা
পোড়বো আমি সারাদিন
নামের বর্নে প্রাণ রঙিন।
তোমার আশায় দিন কাটছিলো
তোমার দেখা পাবো বলে
হটাৎ, তোমার গল্প শুনে
ভাঙলো ঘুম চোখের কোনে
ধপাস করে পড়লাম আমি
তক্তোপোসের নীচে অগ্নি কোনে
কোমরের হাড় ভেঙে গেলো
আগুনেতে পুড়ে দগ্ধ হলাম
প্রানের রস বেরিয়ে গেলো
নিঙড়ে, নিঙড়ে ফেলে দিলাম।
প্রানের কাছে হেরে গেলাম
দুঃখের কথা লিখে গেলাম
প্রান ভরে আনন্দ পেলাম
দুঃখ গুলো বেরকরে গেলাম
সবার সঙ্গে ভাগ করে
সবার মধ্যে বিলিয়ে গেলাম
সাদা কাগজ রঙিন করে
কালো কালিতে লিখে গেলাম
দুঃখের ভাষা শিখিয়ে গেলাম
তোমার প্রানে মিলিয়ে গেলাম।