এই বাতাস বড়ো চেনা চেনা লাগে,
কানের পাশ দিয়ে যখন চলে যায়-
চুল উড়িয়ে, চোখ ধাঁধিয়ে যেন,
বলে যায়-
তুমি কি সেই অসহায়?
যাকে দেখেছিলাম সটান দাঁড়িয়ে,
বিয়ের রাতে ঐ শিউলি তলায়?

হ্যাঁ আমি সেই, আজও বড়ো বেদনায়-
ভাঙছে বুক, গলছে হাড়,
কী যেন রোগ হয়েছে আমার।
তেমন চোখ তো আগে কখনো দেখিনি,
কপালে ছোট্ট একটা পূর্নিমার চাঁদ নিয়ে,
আঁধার রঙে লেখা চিঠি দিয়ে,
বুক আমার এঁফোড়-ওঁফোড় করে,
সেই যে চলে যাওয়া,আর ফেরা হয়নি তাঁর।

বিষ পিঁপড়ের কামড়ে যখন নেশা ভাঙলো-
তখন রাত গড়িয়ে গেছে,
সময়টুকু থমকে নেই,ছেড়ে চলে গেছে।
পালঙ্কে আমার রাত্রিরা ঘুমিয়ে,
ঘর ডেকে ডেকে ক্লান্ত হয়েছে।
তোমার অপেক্ষায় তখনও মত্ত আমি,
তবু একবারও ফিরে আসোনি,
দম্ভ তোমায় আসতে দেয়নি।
পিঁপড়ের বিষ শেষ হয়েছে সেদিনই,
কিন্তু দম্ভ তোমার,আজও কষ্ট দেয়।

রাত্রি আজ নিঝুম ঘুমে মগ্ন,
বিরহী বাতাস প্রিয়তমার খোঁজে দিশেহারা।
হে বাতাস,আমায় সাথে নিয়ে যাবে?
আমায় পৌঁছে দিও, ঐ দূর সীমানায়,
যেখানে সহজেই মানুষ পারাপার হয়,
মন খোঁজে ফেরে আরেকটি মন,
দম্ভ যেখানে প্রবেশ পায় না।

২৩/০৫/২০১৬