আপন মনে বেল গাছে পিঠ ঠেকিয়ে ,
প্রতীক্ষা করছিলাম কখন বারোটা বাজবে ।
কথা দিয়েছিলে তুমি , তুমি আসবে ,
ঘড়িতে যখন ঠিক বারোটা বাজবে ।
বলেছিলে দাঁড়িয়ে থেকো বেলতলাতে ,
যতক্ষন না ঘড়িতে ঠিক বারোটা বাজবে ।
তোমার উপহার দেওয়া ঘড়িটা পরে ,
দু ঘন্টা আগেই পৌঁছে গেছিলাম বেলতলাতে ।
একটা চাপা আতঙ্ক বুকে নিয়ে ,
তুমি যদি চলে আসো সময়ের আগে ।
প্রথম প্রহরে মৃদুমন্দ সমীরণে ,
উপভোগ করেছিলাম তোমার প্রতিক্ষাকে ।
ঘড়িতে যখন প্রায় বারোটা বাজে ,
হৃদস্পন্দনের গতি গিয়েছিল বেড়ে ,
এই বুঝি চলে এলে , চলে এলে ।
কিন্তু এলো ঝড় দ্রুতগতিতে ,
শিলাবৃষ্টিকে তার প্রিয় সখী বানিয়ে ।
শিলাবৃষ্টি এসেই তাঁর প্রথম প্রহারে
নিঃস্তব্ধ করে দিলো ঘড়ির কাটাগুলোকে ।
বারোটা বাজা উচিত ছিল এতক্ষনে ,
তবুও ঘন্টা বাজলো না ঘড়িতে ।
শরীর ক্ষত বিক্ষত শিলের আঘাতে ,
হৃদস্পন্দনও চলছে এখন ধীর গতিতে ।
নিকোটিনের দ্বারা স্নায়ুকে সজাগ করে ,
চেষ্টা করে যাচ্ছি মরিয়া হয়ে ।
ঘড়ির কাটাগুলোকে একটু সরাতে ।
কারণ আমার বিশ্বাস তুমি আসবে ,
ওই ঘড়িতে যখন ঠিক বারোটা বাজবে ।