একটা সমস্যায় পড়েছিরে তমালিকা ,
মা-বাবা জেনে গেছে রণদ্বীপের কথা ।
দু-বছরের সম্পর্ক ছিলো ওর সাথে ,
পার্কে ঘুরতে গিয়ে ধরা পড়েছি দাদার কাছে ।
কী করবো ! বাবার এক ধমকে বিচ্ছেদ করেছি ,
মায়ের কথা রাখতে ব্লকও করে দিয়েছি ।
দিন পনেরো-কুড়ি অন্য নাম্বার দিয়ে
ফোন মেসেজ করেছিল , কিন্তু পাত্তা দেইনি ওকে ।
খবর পেয়েছিলাম ছেলেটা ভালোও ছিলো না রে ,
দশমীতে মদ খেয়ে নাচে ডিজের তালে ।
যাকগে ওইসব ছাড় তমু , শোন না ।
তুই তোর ঈশানকে একটু বলে দেখ না ,
ওর পরিচিত কোনো ছেলে আছে কিনা ,
দেখতে একটু ভালো হলেই হবে , বলে দেখ না ।
জীবনের পঁচিশটা বছর একাকিত্বে কাটানো ,
একজন বইপ্রেমী রোহিতকে ঈশান এসে বললো ।
কিছু মনে করবা না একটা কথা বলবো দাদা ,
আমি যার সাথে প্রেম করি মানে তমালিকা ,
ওর একটা বান্ধবী দ্বীপশিখা , খুব ভালো মেয়ে ।
ও না তোমাকে মনে মনে খুবই ভালোবাসে ।
কথাটা নাড়া দিয়েছিল রোহিতের যৌবনকে ,
নারীসঙ্গেরও তো প্রয়োজন আছে ওর জীবনে ।
শুরু হলো রোহিত-দ্বীপশিখার নতুন কাহিনী ।
বই খাতা শিকেয় তুলে , হলো প্রেমিকার প্রেমী ।
একটা বছর কেটেছিল লুকোচুরি খেলাতে ,
আবারও ধরা খেলো দ্বীপশিখা বাড়িতে ...... ।
একটা কাজ করে দিবি রে সুচরিতা !!!
প্রেম করতে চাই একটা , ছেলে খুঁজে দে না ।