নিশাচর-নিশাচরি হয়ে ,
চুপিসারে কত নির্জন রাতে ,
তোমার কোলে মাথা রেখে ,
কাল্পনিক সুখের সাগরে ভেসে ,
একটু একটু করে খড়কুটো দিয়ে ,
গড়ে তোলা সমীপ্তিকের ঘরকে ,
ভেঙে দিয়েছিলে এক নিমিষে ।
বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে,
পারিনি শেষ রক্ষা করতে ।
তুমি দাওনি রক্ষা করতে ।
হৃদয় ক্ষত বিক্ষত করে ,
তুমি গিয়েছিলে সুখের সন্ধানে ।
ইট-বালি-পাথরের ইমারতে ।
সমীপ্তিকের আর্তনাদও পাওনি শুনতে !
যে ডায়েরির পাতায় লেখা ,
সমীপ্তিকের কাহিনী ও কথা ।
এখন রয়েছে কোনো আস্তাকুরে জমা ।
সাজানো বইয়ের তাকে সেটা খোঁজা ,
বড্ড বেশি বোকামোই হবে কাজটা ।
মাঝে মধ্যে জানতে ইচ্ছে করে ,
খড়কুটোর সেই ছোট্ট ঘরকে ,
খোঁজ কেনো? অট্টালিকা ছেড়ে !
বার্তা দিয়ে যাই তোমার তরে ,
খুঁজতে এসোনা সেই জায়গাতে ,
পাবেনা , সমীপ্তিকের ছোট্ট ঘরকে ।
সেখানে এখন অট্টালিকা দাঁড়িয়ে ।
শত মাইল বেগে বওয়া ,
ঝোড়ো সমীরণেরও নেই ক্ষমতা ,
ভেঙে ফেলবে সেই অট্টালিকার দরজা ।
তাই চাবি ছাড়া শত প্রচেষ্টা ,
শুধু শুধু সময় নষ্ট করা ।
এটাই সত্য , বাস্তব কথা ।
তুমি চাইলেই ভাবনার আকাশে ,
ছড়াতেই পারো সমীপ্তিকের কাহিনীকে ।
স্বপ্ন দেখতেই পারো স্বপ্নের দেশে ,
দিনে বা রাতে , ঘুমিয়ে বা জেগে ।
সমীপ্তিকের বাস্তব রূপকে ,
এখন আর পারবে না দিতে ।