একটি দিন ;
সারাদিন আমি সূর্য-স্নানে উচ্ছসিতো
নীলের উপরে সাদা ওড়নায়
ঘোমটা টানলো সূর্যটা হঠাৎ
সিঁদুর-মুখা তরুনীর মতো
জ্বলন্ত হাসি দিয়ে
হৃদয়-বনে আগুন লাগালো
আমি পুঁড়ছি নাজ্বলা আগুনে।
পৃথীবির যেখানে আমার অবস্থান
ধীরে ধীরে সে তার বিপরীতে হারাতে থাকলো।
কর্ষিকা-উদ্ভিদের মতো কতো গুলো আঙ্গুল
তার কল্ -জে আঁকড়ে ধরে টানছে।
সূর্যটাকে ছেড়ে দাও, বলে চেঁচালাম
পেছনে ফিরে দেখি শুন্য প্রান্তর,
বুঝলাম সূর্য — মুক্ত হবে না বোধহয়।
................ ......................
১২/০৭/১৪ইং
কবিতাটির বার্তাঃ দিনের মতো সত্য, সুন্দরের আশা করে প্রতিটি মানুস। হঠাৎ যেন সূর্যটা (আলোকময় সত্য, সুন্দরের প্রতিক) ডুবে যাচ্ছে গোধুলীর রং দেখিয়ে ধীরেধীরে। বুকের ভেতর আলোকিত সত্য, সুন্দরের অস্তমিত হওয়ার ব্যাথা না জ্বলা আগুন (কয়লার আগুন) আমাকে পোঁড়ায় ভীষন। মনে হয় আমাকে স্ব-অবস্থানে রেখে হারিয়ে যাচ্ছে। অশুভ যেন তার কলিজা ধরে শত-শহস্র আঙ্গুলে টেনে নিয়ে যাচ্ছে অস্তমিতের দেশে। আমার পেছনে দল-বল অনেক ভেবে আলোকময় সত্য, সুন্দরকে বাঁচাবো বলে চেঁচিয়ে উঠলাম— ছেড়ে দাও সূর্যটাকে, পেছনে ফিরে দেখি কেউ নেই আমি একা, অবাক হলাম ! আলোকময় সত্য, সুন্দর প্রতিষ্ঠিত করা হলোনা বোধহয়।