জানালাটা খোলা থাকে কি দিন কি রাত
বৃষ্টি এলে আঁচে ভেঁজে ভেতর বাহির তবু।
রান্না ঘরের একটি অংশ দেখা যায় ;
তিন বেলা রান্নার সময় — থেকে থেকে
নিক্ষিপ্ত হয় ছ্যাঁত ছ্যাঁত শব্দে
চাল মাছ আনাজ ধোয়া এঁটো জল,
সেখানে বেড়ার নিচের দিকটা ভিঁজে ভিঁজে
ক্ষয়ে খানিক ফাঁকা হয়ে গেছে।
হংস কুক্কুটরা চষে ফেরে দিনভর
সৃষ্টি করে ঘাঁটা - কাদা এ বহু দিনের।
এমন গা ঘিনঘিন করা কাদার ভেতর
তিনটে কেঁয়া, পাতা ছেড়ে বাড়তে থাকে
এঁটো জলের আঘাতে কর্দ - স্নান সারা দিন
রাতে বাড়ে সজীবতা ফিরে পায়।
মনের মধ্যে বিশ্বাস বাড়ে, এমন পঙ্কে
সবুজের সজীবতা কেমন হাসছে !
সেদিনের সেই ভোর দেখা ভুলতে পারি না
কেঁয়া-পাতার শরীর ফুঁড়ে সদ্য ফোটা তিনটি ফুল
একটি হলুদ দুটি লাল যেন পুরো দুনিয়ার
সুন্দর ভোর। সেই কবে সে ঘর ছেড়ে
বেরিয়েছি তবু মনের ভেতর সেদিনের মতো
কে যেন কথা কয়, 'হায় ! কেঁয়া এতদিন
কোথায় ছিলো তোর এমন মোহিনী রং। '
..................................................
২৭/০৬/১৪ইং