মেয়েটির এখনো জ্ঞান ফেরেনি !
সারা শরীরে তার কবেকার বিষাক্ত পশুদের দংশন !
পচন এসেছে ওর গোপনে, নির্মম !
মৃত্যুর সাথে লড়াই করে চলেছে অনেক দিন ।
মন ; সে তো কবেই হয়েছে লীন !
সেই যে কবে আলাপ হয়েছিল -
মৃত্যুর সাথে !
মুঠো ফোনে , গোপনে ।
তারপর একরাশ বিশ্বাস ,
আর অন্ধ ভালোবাসা ,ক্ষণে !
ঘর ছেড়েছিল আয়েশা ।
কিছুদিন কত প্রেম ;
হারিয়ে গেছিল সে সুখের সাগর,
পেয়েছিল নতুন ভাষা !
বিশ্বাস হয়েছিল ঘন !
গাঢ় হয়েছিল ভালোবাসা ।
এর পরেই আস্তানা বদল ,
এলো এক নতুন ঠিকানায়!
মৃত্যুর সীমানায় !
এক ছোট ঘরের বাসিন্দা হল সে ,
আলো যেখানে থমকে দাঁড়ায় !
একদিন আর ফিরলো না ওর রাজু !
জানতো না ও ; বিক্রি হয়েছে হায় !
না ; আর হয় নি কখন দেখা শয়তানটার !
রাজু রা এভাবেই ঠকিয়ে যায় ;
আর ওরা হয় পাচার !
ভালোবাসা ! সব শব হয়ে যায় -
নেমে আসে নরকের সংহার !
যা ছিলো বিগত দিনের সুখ !
তাহাই আজ হয়ে ওঠে-
নৃশংস অসুখ !
প্রতি দিন , তিন চার পাঁচ বা আরো বেশি বার !
হয়েছে ও পশুদের খাবার!
কখন একা , কখন একসাথে -
সকাল থেকে রাতে ;
ছিঁড়ে খেয়েছে পশুর দল !
উন্মত্ত কামাতুর হলাহল !
যতদিন না পেয়েছে ওরা -
সেপসিসের কূট ঘ্রাণ !
ছিঁড়ে কূটে খেয়ে নিয়েছে -
ওর সুখের অরগান !
তারপর একদিন অন্ধকার -
নেমে আসে !
ওর শরীরের দেশে !
জায়গা হয় হাসপাতাল ।
ডায়মন্ড হারবারের মেয়ে টা -
দিল্লীর নিষিদ্ধ পল্লী হয়ে ;
পায় একরাশ বিশ্বাসের বিষ ,
আর ভালোবাসার কংকাল !!