এখন বাড়িতে বসেই পাওয়া যাবে সবকিছু
তাহলে কি যেতে পারে বলা
সুখের দিন শুরু ?
হবে না যেতে আর বাজারে দোকানে
পায়ে হেটে কষ্ট করে
সব পরিসেবা প্রয়োজনে কিম্বা দরকারে
চুন থেকে পান , ওষুধ কিম্বা তরকারী
সবই পৌঁছে যাবে বাড়ি ।
করলেই ফোন, যখন তখন
হবে না একটুও দেরী ।
তবে পারো যেতে শপিং মলে
সুপার মার্কেটে কিম্বা সিটি সেন্টারে
ওটা কেবল কেনার জায়গা নয়
ঘোরার জায়গাও বটে
খাওয়া দাওয়া তোঁ আছেই আলাদা ।
খুব মজা হবে ।
না কাঁদা কিচকিচ , না ভিখারির জ্বালা ।
জানি এই সকল ব্যাবস্থা উন্নতিরই পরিচয়
অনেকের আবার মত, শুধু উন্নতি নয়
দূর হবে নাকি বেকারের সমস্যাও
পড়ালেখা জানা যে সব যুবক বসে আছে অভাবের ঘরে
এখন যাবে তারা এক ঘর থেকে অন্য ঘরে
করে বিদ্যার উপযুক্ত ব্যবহার, দু বেলার আহার
আর দামী সেলফোন হবে।
শুনতে ভালোই লাগে।
বুঝতে গেলে অন্য এক ছবি উঠে আসে
ছোট খাটো দোকানের শ্রেণী থাকবেনা আর
থাকবেনা তাদের সন্তানেরও ব্যাবসা করার ভার ।
ছোটদের দিন শেষ , এখন বড়রাই সামলাবে সব
চাকরীই গড়বে দেশের ভবিষ্যৎ ।
তোমার যাবতীয় চাহিদা, উপকরন
তৈরি করবে আবার করবেও পূরণ।
সেখানে ছোটদের প্রবেশ বারন ।
একদল মানুষ দেবে আদেশ , একদল নেবে
আর এক দল করবে পালন
এদের মাঝে থেকেও অদৃশ্য একদল
করবে সবকিছু নিয়ন্ত্রন
নির্দিষ্ট করে দেবে আগামী ভবিষ্যতে
তারা থাকবে না মুছে যাবে
তা বলে ভেবোনা কর্মীর অভাব হবে?
ওরা জানে ঠিক কিভাবে সমাজের বুকে
অভাবকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে ।