ক্ষুদ্র শিল্প, মানুষের প্রয়োজন ভেবে
সমাজের অনুভবে গড়ে নিয়ে নিজেকে
বিকাশ ঘটায় ব্যক্তিগত প্রতিভার
হাত ধরে স্বনির্ভরতার
শেখায় জনসংখ্যার প্রকৃত ব্যবহার
বৃহৎ শিল্প সেই সমাজকেই নেয় গড়ে
নিজের প্রয়োজন অনুসারে
নিজের পথেই করে চালিত,
করে প্রভাবিত স্বাভাবিক জীবন সবার
করেছিলেন সতর্ক মনীষীরা বহুদিন আগে।
তবুও সমাজের প্রজাপ্রতিগন স্বাধীন ভারতে
না করে পদচারণ মনিষীদের দেখানো পথে
বড় শিল্পকেই করেছেন উপস্থাপন
সমাজ উন্নয়নের একমাত্র কাণ্ডারি রুপে।
আজ যখন একে একে
সবকিছুই গিয়েছে নাগালের বাইরে
চাল ডাল , ওষুধ বিশুধ, শিশুদের খাবার
না তাকিয়ে পিছনে আবার
বলছেন! চিৎকার করে
আরও বিনিয়োগ দরকার বৃহৎ শিল্পতে।
বিষয়টা আছে বোঝার।
অবস্থা এমন!
আমরাই দেবো জমি, আমরাই দেবো কাঁচামাল
দেবো সস্তার শ্রমিক, দেবো হরেকরকম অনুদান
দেবো গরীবের জমা ব্যঙ্কের টাকায়
সহজ কিস্তিতে ঋণের অধিকার
শুধু হ্যাঁ বলুন একবার!
যেখানেই দেশ হোক আপনার
আমরা মেনে নেবো ।
কারন এখানে বসুন্ধরায় কুটুম্বকম খুবই সমাদৃত
করতে পারেন মাটি, বাতাস দূষিত
পারেন করতে ভূগর্ভের জল শূন্য
মুনাফা আপনার নিজের মতো
ক্ষতিটাও আমরাই বুঝিয়ে দেবো
জি ডি পি দেখিয়ে।
কারন! এদেশে স্বনির্ভরতা বলতে
শুধু চাকরীই বোঝে শিক্ষিত বেকার
এর বেশী চায়না! সে, তার পরিবার।
চায়না মালিক হতে।
চায়না জানতে!
কিভাবে দেশ উঠেছিল বানিজ্যের শীর্ষে
প্রযুক্তির উৎকর্ষে
সোনার পাখী পেয়েছিল নাম
ঘরে ঘরে ছিল কারখানা
তবুও সবুজে ভরা ছিল গ্রাম
একটুও দূষণ ছিল না বাতাসে
ছিল বারো মাসে তেরো পার্বণ
উৎসব আর উৎসবে কেটে যেত জীবন
মৃত্যুতেও হত শ্রাদ্ধ ভোজন ঘটা করে।
আজও হয় নানান উৎসব সুখে
হয় অনেক টাকার শ্রাদ্ধ
তবে সেটা, কিছু মানুষের মুখে
যারা শুধু নিজেদের ভালোটাই চেয়েছিল
আর যারা এখনও চায় বিদেশী শাসন
বৃহৎ শিল্প আড়ালে রেখে।
সামান্য কিছু উপঢৌকন
আর আসনের বিনিময়ে
দেশকে রেখেছে ভিখারি করে
বেরোজগার আর বেকারত্বের জোরে
গায় পুঁজিবাদের জয়গান
বলেনা কেউ আর ভুল করে
মালিক মজদুর সমান সমান ।