কেউ কি হতে চায় পন্য ?
তাহলে কাদের জন্য
অনিচ্ছা স্বত্বেও হতে হয়
ব্যাবহ্রিত,
অনাবশ্যক পন্যের মত ?
ইচ্ছে ছিল হবে শ্রেষ্ঠ ফুটবলার
এখন বাজায় গীটার
এক সস্তা বারে ।
আগে উঠত মেতে স্টেডিয়াম
খেলা দেখে তার
এখন সে মাতায় আসর
দুঃখ চেপে রাখে বুকে ।
আজও, হলে খেলা মাঠে
সে দাড়িয়ে থাকে
এক কোনায়
ছলছল চোখে ।
কি ভাবে সে ?
সবই কি ভাগ্যের লিখন ?
নাকি সে কোন পাললিকশিলা এখন
পরিবর্তিত পরিস্থিতির চাপে ?
নিজেরই হাতে টিপে ধরে গলা প্রতিভার
জন্ম দেয় সে কি এক হীনমন্যতার ?
ডাকাবুকো খেলোয়াড় হয়ে যায় নরম এমন
ক্ষুদ্রতার ভাবনা নিয়ে সেও অন্যের মতন
না করে অন্বেষণ প্রকৃত কারন
নিজেকেই দোষী মনে করে l
সমাজকে বলে উন্নত , দেশকে অবিশ্বাস্য , অসাধারন l
কোন যুক্তিতে ?
যে সমাজ করতে পারেনা রক্ষণাবেক্ষণ
যুব শক্তির
সে উন্নত হয় কি করে?
গভীর কোন ষড়যন্ত্রের গন্ধ কি আসে ?
উত্তর আছে ইতিহাসে
খুঁজতে হলে, যেতে হবে অতীতে
আছে লেখা সেখানে
কিভাবে যায় ভাঙা মেরুদণ্ড স্বনির্ভরতার?
কাদের হয় লাভ
বাড়লে দেশে দারিদ্রের হার?
কিসের তাগিদে চাষি হয় পরিযায়ী ?
কেন না বুনে তাঁত, মাছ বিক্রি করে তাঁতি ?
কেন হয় ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি ?
যখন অভাবের নামে হয় দুর্বল অর্থনীতি
কিভাবে ফুলে ফেঁপে ওঠে
কিছু মানুষের গদি ?
শুধু জোড় করে নয়
অন্য অনেক আছে পদ্ধতি
যেভাবে যায় করা শোষণ শাসন
উন্নতির নাম নিয়েও করা যায়
জীবিকার পরিবর্তন ?
যায় করা দুর্বল
দেশের যুবক প্রতিভা সকল
স্বপ্ন যাদের এখন , স্বনির্ভরতা নয়
একটি ভালো চাকুরীর খোজ কেবল ।
মালিক নয় , চাকর হতে চায় ?
জলাঞ্জলি দিয়ে শিক্ষা সব , সকল পরিশ্রম
আফসোস নয় আপোষ করতে চায় আজীবন
বোঝেনা চক্রান্ত
তাদের সেবা করে হয় ক্লান্ত
যারা ছিনিয়ে নিতে চায় দেশের যৌবন
কৌশলে চুপিসারে
রত্নগরভা ধরনী আজ মরুভূমির মতন ।